বর্তমান পরিস্থিতিতে পাইপলাইনের কাজ জুন পর্যন্ত পিছোতে পারে বলে জানাল সংস্থাটি। প্রতীকী ছবি।
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস জোগাতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল-এর জগদীশপুর-হলদিয়া পাইপলাইন মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে নদিয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা জুন পর্যন্ত পিছোতে পারে বলে জানাল সংস্থাটি।পাইপের গ্যাস সাধারণ ক্রেতাকে বণ্টন করবে বেঙ্গল গ্যাস (বিজিসি), হিন্দুস্তান পেট্রলিয়াম (এইচপিসি), আইওসি-আদানির মতো সংস্থা। বিজিসির বিপণন বিভাগের প্রধান পঙ্কজকুমার বিশ্বাসের অবশ্য বক্তব্য, দ্রুত ছাড়পত্র পেলে বাংলা নববর্ষের সময়ে রান্নার জ্বালানি হিসেবে কলকাতা ও শহরতলির কিছু আবাসনে বিশেষ ভাবে সিলিন্ডারে ভরে ও ট্রাকে করে (কাসকেড পদ্ধতিতে) আর এক ধরনের প্রাকৃতিক গ্যাস (কোল বেড মিথেন) পৌঁছনো সম্ভব।
মঙ্গলবার ফিকির অনুষ্ঠানে গেল-এর কলকাতা আঞ্চলিক দফতরের সিজিএম অসীম প্রসাদ জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্যে গাড়ির জ্বালানির ১৬০০টি সিএনজি স্টেশন, রান্না ও শিল্পের জ্বালানি হিসেবে তিন কোটি পিএনজি (পাইপের মাধ্যমে) সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু পাইপ বসাতে জমি ব্যবহারের সায় দ্রুত না পেলে পিছোয় প্রকল্পের সময়সীমা। বাড়ে খরচ। অবশ্য রাজ্য প্রকল্পে সাহায্য করছে। ওএনজিসির কর্তা শ্যামল বসু জানান, অশোকনগরে গ্যাসের ভান্ডার থেকেও গেল-এর পাইপে গ্যাস জোগানের পরিকল্পনাআছে। এইচপিসির জিএম সঞ্জয় ঘোষের বক্তব্য, গ্যাস বণ্টনে ৭০০০ কোটি টাকা লগ্নি করবেন। দুই বর্ধমানে পাঁচ বছরে ১৫০০-১৮০০ কোটি লগ্নির কথা জানান আইওসি-আদানি গ্যাসের সিইও বশিষ্ঠ ঢোলাকিয়া।