ফাইল চিত্র।
সপ্তাহখানেক আগেও কালীঘাট মন্দিরে চালু থাকা জীবাণুনাশক চ্যানেলটি গত মঙ্গলবার বিপত্তারিণী পুজোর ভিড়ের চাপে বিকল হয়ে গিয়েছিল। এখনও সেটি মেরামত করা হয়নি। তাই বর্তমানে কালীঘাট মন্দিরে সংক্রমণ ঠেকানোর কোনও ব্যবস্থাই নেই। শনিবার, বিপত্তারিণী পুজোর দ্বিতীয় তিথিতেও সংক্রমণ রুখতে মন্দির কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গাফিলতির সেই পুরনো ছবিই দেখা গেল বলে অভিযোগ।
এ দিনও বেলাগাম ভিড় ছিল মন্দিরে। অধিকাংশ দর্শনার্থীই মাস্কহীন। মন্দিরের গেটে ছিলেন হাতে গোনা পুলিশকর্মী। এমন পরিস্থিতির জন্য শুধু মন্দির কমিটিই নয়, পুলিশ-প্রশাসনের দিকেও আঙুল উঠছে। সেবায়েত কাউন্সিলের সম্পাদক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মন্দির কমিটির একগুঁয়েমির জন্য মন্দিরে কোনও কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না। মন্দির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কালীঘাট থানা। কিন্তু পুলিশ কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ।’’
তবে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি।’’ কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) আকাশ মাঘারিয়ার দাবি, করোনা-বিধি পালন করাতে মাইকে প্রচার করেছে পুলিশ। তাঁর কথায়, ‘‘এ দিনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
মন্দির কমিটির প্রেসিডেন্ট তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি, এসএমএসেরও জবাব দেননি। তবে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, তিনি অসুস্থ। মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ কল্যাণ হালদার বলেন, ‘‘মন্দির কমিটির একাধিক বৈঠকে সংক্রমণের নিয়ম পালনের ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করা হয়নি। সমস্যার সমাধানে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না।’’