এনআরসি-আতঙ্কে সাতসকালে পুরসভায়

মঙ্গলবার সকালে তখন আটটাও বাজেনি। পুর ভবনের বন্ধ গেটের বাইরে উপচে পড়ছে ভিড়। চিৎকার, ঠেলাঠেলি। আচমকা ওই ভিড় দেখে হতভম্ব পুরসভার রক্ষীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৫
Share:

ভীত: শংসাপত্র নিতে ভিড় পুর ভবনে। মঙ্গলবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জি ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে এ শহরেও।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে তখন আটটাও বাজেনি। পুর ভবনের বন্ধ গেটের বাইরে উপচে পড়ছে ভিড়। চিৎকার, ঠেলাঠেলি। আচমকা ওই ভিড় দেখে হতভম্ব পুরসভার রক্ষীরা। তাঁরা খবর দেন পদস্থ অফিসারদের। পরে পুরকর্তাদের নির্দেশে রক্ষীরা গেটের কাছে গিয়ে জানতে চান, তাঁরা কেন এসেছেন? ভিড় করা লোকজন জানান, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে এসেছেন। সে তো প্রতিদিনই দেওয়া হয়। তা হলে সকালে ভিড় করার কারণ কী? তত ক্ষণে চিৎকার শুরু হয়ে গিয়েছে, ‘তাড়াতাড়ি দরজা খুলুন। এনআরসি হলে বিপদে পড়ব। আগেই শংসাপত্র করতে হবে।’

মুখ্যমন্ত্রী থেকে মেয়র, সকলেই বারবার বলছেন, এ রাজ্যে এনআরসি হবে না। তা সত্ত্বেও ভয় কাটছে না মানুষের। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে ও পুরসভায় জন্ম-মৃত্যু এবং রেশন কার্ডের জন্য ভিড় বাড়ছে। তবে কলকাতায় এমন ভিড় ভাবিয়ে তুলেছে পুরকর্তাদের। সাতসকালে সেই খবর পেয়ে ডেপুটি মেয়র (স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘এত লোক একসঙ্গে এলেও আমাদের কিছু করার নেই। প্রতিদিন ১০০ জনকে ওই শংসাপত্র দেওয়া হয়।’’ তিনি জানান, ওই দফতরে যত সংখ্যক কর্মী রয়েছেন, তাতে এর চেয়ে বেশি শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। তেমন পরিকাঠামোও নেই। আর শংসাপত্র দেওয়ার আগে খুব সতর্ক ভাবে সব কিছু পরীক্ষা করতে হয়।

Advertisement

তাতে যে সমস্যার সমাধান হবে, এমনটা মনে করছেন না পুরকর্তারা। অসমের ঘটনার পরে এনআরসি নিয়ে এ রাজ্যে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement