Bidhannagar Municipality

নিয়ম ভাঙা চলছেই বিধাননগরের সংযুক্ত এলাকায়

পুরসভা সূত্রের খবর, জুন মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত মুষ্টিমেয় কিছু এলাকায় এই সমস্যা সীমাবদ্ধ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২০ ০১:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এক-একটি বাড়িতে সদস্য সংখ্যা একাধিক। এক জন আক্রান্ত হলে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে পরিবারের বাকিদের মধ্যেও। গত কয়েক মাসে এ ভাবে বিধাননগরের কিছু সংযুক্ত এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তার পরেও বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে নিয়ম না-মানার প্রবণতা বন্ধ হয়নি।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, জুন মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত মুষ্টিমেয় কিছু এলাকায় এই সমস্যা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আনলক পর্বে তা ছড়িয়েছে আরও কয়েকটি এলাকায়। ফলে রাশ টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। বুধবার পর্যন্ত পুর এলাকায় ২৮৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৪৬২ জন।

নিয়ম না-মানার এই প্রবণতা কেন? সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কাজের জন্য পরিবারের একাধিক সদস্যকে বেরোতেই হচ্ছে। মাস্ক পরা থাকলেও সব জায়গায় দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

আরও পড়ুন: নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু

২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় কম। কিন্তু বহু লোক নিয়ম মানছেন না। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯০-এর বেশি। স্থানীয় কাউন্সিলর জয়দেব নস্কর জানান, এর পরেও নাগরিকদের একাংশ নিয়ম মানার উপরে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘সংযুক্ত এলাকায় ঘেঁষাঘেঁষি করে অসংখ্য মানুষের বাস। তাঁদের বেশির ভাগ অধিকাংশ সময় ঘরের বাইরে কাটান। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কেও তাঁরা তেমন সচেতন নন। তবু সব তরফ থেকে সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে।’’

অন্য দিকে, সল্টলেকের পরে এ বার নারায়ণপুরেও চালু হল করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সেটি চালু হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, দু’টি কেন্দ্র মিলিয়ে দৈনিক ১০০ জনের পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement