হাঁসফাঁস: মৌলালিতে যানজট। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
শহরের নানা প্রান্তে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান। তার জেরেই বুধবার দুপুর থেকে থমকে গেল শহরের নানা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। চরম ভোগান্তিতে পড়লেন মানুষজন। কারও পথেই হল দেরি, কেউ আবার গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই পৌঁছলেন গন্তব্যে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে ধর্মতলায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে অন্য একটি অনুষ্ঠানের জন্য আশুতোষ মুখার্জি রোড, এক্সাইড মোড়েও যানজট তৈরি হয়। হেদুয়ার কাছে একটি জমায়েত ঘিরে বিডন স্ট্রিট এবং যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়।
এ দিন কলেজ স্কোয়ারে এসইউসি-র একটি জমায়েত ছিল। পুলিশ সূত্রের দাবি, তার জেরে মহাত্মা গাঁধী রোড, কলেজ স্ট্রিটে যানজট হয়েছিল। সেই জমায়েত মিছিল করে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, ওয়েলিংটন, এস এন ব্যানার্জি রোড দিয়ে ধর্মতলায় পৌঁছয়। তার জেরে থমকে যায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-সহ মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। এ দিন বিকেলে একটি ক্যাবে চেপে ধর্মতলায় আসছিলেন সুপ্রীতি বসু নামে এক তরুণী। তিনি জানান, মৌলানা আজাদ কলেজের সামনে ঝাড়া ২০ মিনিট গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। বাধ্য হয়ে তিনি ক্যাব ছেড়ে হাঁটা লাগান।
এন্টালির সিআইটি রোড থেকেই ট্যাক্সি চেপে রীতিমতো ঠোক্কর খেতে খেতে মৌলালি পৌঁছেছিলেন লালমোহন দাস। মৌলালি থেকে হিন্দ সিনেমার কাছে পৌঁছনোর জন্য ক্রিক রো ধরতেই আরও বিপত্তি। ওইটুকু পথ পেরোতে লেগেছে ২৫ মিনিট! পুলিশ সূত্রের খবর, দুপুরে শিয়ালদহ থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এআইএসএফ-এর মিছিল ছিল। তার জেরেও অল্পবিস্তর যানজট হয়েছিল। পুলিশের দাবি, বিকেলের পর মিছিল শেষ হতেই দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সন্ধ্যায় যানজট কেটে যায়।