এক দিকে ধর্মীয় সংগঠনের মিছিল, অন্য দিকে পথ-দুর্ঘটনায় ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতারের দাবি — এই দুইয়ের জেরে সোমবার ছুটির দিনেও ভোগান্তি পোহাতে হল শহরের মানুষকে।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার কাঁকুড়গাছিতে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় নারকেলডাঙার এক যুবকের। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতিতে সোমবারও ওই লরির চালককে গ্রেফতার করা যায়নি। সে কারণে এ দিন বেলা পৌনে বারোটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত কাঁকুড়গাছি মোড় অবরোধ করেন তাঁরা। যানজটে নাকাল হন অফিসযাত্রীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধের কারণে হাডকো মোড় থেকে কাঁকুড়গাছি আসা গাড়িগুলিকে উল্টোডাঙা মেন রোডের দিকে এবং মানিকতলা থেকে কাঁকুড়গাছির দিকে যাওয়া গাড়িগুলিকে উল্টোডাঙার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বাইপাস থেকে কাঁকুড়গাছির দিকে আসা গাড়িগুলিকেও। পরে অবরোধ উঠলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ দিনই রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে একটি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিলে প্রায় তিন হাজার লোকের সমাগম হয়। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মিছিল আসার সময়ে স্ট্র্যান্ড রোড, হাওড়া সেতু, এস এন ব্যানার্জি রোড, এজেসি বসু রোডে গাড়ির গতি ছিল শ্লথ। মিছিল শুরু হয়ে যায় দুপুর ১২টার আগে থেকেই। দুপুর ২টোয় ওই সংগঠনের সভা হয় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। সেই সময়ে ওই রাস্তাও বন্ধ করে দিতে হয়। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে তৃণমূলের একটি মিছিল বেরিয়ে যায় গড়িয়া পর্যন্ত। এর জেরে ওই রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ গাড়ির গতি ছিল শ্লথ।
অন্য দিকে, হিন্দু স্কুলের ২০০ বছর উদ্যাপনের সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল এক পদযাত্রার। গরাণহাটায় ওই স্কুলের গোড়াপত্তন হয়েছিল বলে সকাল ৯টা নাগাদ মিছিল সেখান থেকে শুরু হয়। বিডন স্ট্রিট, বিধান সরণি, আমহার্স্ট স্ট্রিট হয়ে হিন্দু স্কুল পর্যন্ত মিছিলের জেরে বিধান সরণি সহ বেশ কয়েকটি রাস্তায় গাড়ির গতি ছিল কম।