বিপজ্জনক: রাস্তা পারাপারের সুবিধার জন্য রয়েছে সাবওয়ে। তবু তা ব্যবহার করায় অনীহা বহু পথচারীরই।
রাস্তা পারাপার করার জন্য এবং দুর্ঘটনা রুখতে তৈরি করা হয়েছে সাবওয়ে। তবু তা ব্যবহার না করে রাস্তা পেরিয়েই যাতায়াতের প্রবণতা রয়েছে দত্তাবাদের বাসিন্দাদের মধ্যে।
সম্প্রতি ই এম বাইপাসে কাদাপাড়া মোড়ের আগে দত্তাবাদ লাগোয়া জায়গায় এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। কিন্তু তার পরেও হুঁশ ফিরছে না ওই এলাকার পথচারীদের একাংশের। সাবওয়ে এড়িয়ে ব্যস্ত রাস্তা পারাপার করতে মঙ্গলবারও দেখা গেল বহু পথচারীকে।
সাবওয়ে এড়ানোর এই প্রবণতা কেন? কেউ কেউ জানাচ্ছেন, সাবওয়ের সিঁড়ি ধরে ওঠা-নামা করতে সময় বেশি লাগে। কেউ আবার রাস্তা পেরোনোর পুরনো অভ্যাসের দোহাই দিচ্ছেন। তবে এ ভাবে রাস্তা পারাপারে যে বিপদের ঝুঁকি রয়েছে, তা অবশ্য মেনে নিচ্ছেন পথচারীদের অনেকেই। এ দিন উল্টোডাঙা স্টেশন যেতে বাসে
আরও পড়ুন: কোর্টের নির্দেশ মানছে না স্কুল, অভিযোগ যাবে মন্ত্রীর কাছে
ওঠার জন্য রাস্তা পেরোচ্ছিলেন অফিস ফেরত এক যাত্রী। সাবওয়ে ব্যবহার নয় কেন? ওই ব্যক্তির স্বীকারোক্তি, ‘‘সাবওয়ে দিয়ে রাস্তা পেরিয়ে বাস ধরতে গেলে তো অনেকটা দেরি হয়ে যাবে। তাই রাস্তা পেরোচ্ছি।’’
মঙ্গলবার, দত্তাবাদ সংলগ্ন ই এম বাইপাসের কাদাপাড়া মোড়ে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
যদিও ভিআইপি রোড পারাপার করতে সাবওয়ে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা। কারণ সেখানে সহজে রাস্তা পারাপারের সুযোগ নেই। কিন্তু বাইপাসে বিপদ মাথায় নিয়েই অবাধে রাস্তা পেরোচ্ছেন পথচারীদের একাংশ।
অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়ে কাদাপাড়া বাইপাস মোড়, বেলেঘাটা-বাইপাস মোড়ে রাস্তা পারাপারের জন্য সাবওয়ে তৈরি করেছিল কেএমডিএ। তবে পথচারীদের একাংশের অভিযোগ, ওই সব সাবওয়ে সব সময়ে পরিষ্কার করা হয় না। অনেক সময়ে জল চুঁইয়ে পড়ে পা পিছলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে থাকে সাবওয়ের ভিতরে। অনেক সময়ে পথচারীদের অনেকে আবার সাবওয়ে রয়েছে বলেও জানেন না। যদিও কেএমডিএ-র আধিকারিকদের একাংশের দাবি, ওই সব সাবওয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রয়েছে। তার পরেও এ ধরনের অভিযোগ এলে পদক্ষেপ করা হয়। তবে তার জন্য সাবওয়ে এড়িয়ে রাস্তা পারাপারের যুক্তি মানতে নারাজ প্রশাসন। কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে যাতে পথচারীরা সাবওয়ে ব্যবহার করেন, তা নিয়ে নিয়মিত সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্ভোগ কমলেও জমা জল ফেলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর নির্মল দত্ত জানান, সাবওয়ে ব্যবহার করতে এলাকায় প্রচারও চালানো হলেও এখনও অনেকেরই হুঁশ ফিরছে না। বিপদ মাথায় নিয়ে এখনও রাস্তা পারাপার করছেন পথচারীদের একাংশ। তবে তাঁদের সচেতন করতে লাগাতার প্রচার চালানো হবে।