—নিজস্ব চিত্র।
রবিবার সকালে শ্যামবাজারের কাছে আরজিকর রোডে আচমকা অবরোধে আটকে গেল যান চলাচল। পুলিশ জানিয়েছে, জনা কুড়ি মানুষ আরজিকর হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ অবরোধ শুরু করেন। আটকে যায় শ্যামবাজার থেকে টালা পার্কগামী এবং টালা পার্ক থেকে শ্যামবাজারমুখী গাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টালা থানার পুলিশ। মূলত পুলিশের হস্তক্ষেপেই দশটা নাগাদ ওঠে সেই অবরোধ।
কেন এই অবরোধ?
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা বছর কুড়়ির অন্তঃসত্ত্বা রেশমা বিবিকে আরজিকরে এনে ভর্তি করান তাঁর আত্মীয়েরা। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, সন্তানের জন্মের পর থেকেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল রেশমার। তাঁর পরিজনেদের অভিযোগ, রেশমার শুশ্রূষার জন্য সেই সময়ে হাসপাতালের এক আয়া এক হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু তাঁদের কাছে অত টাকা নেই জানানোয় রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন ওই আয়া। এর মধ্যেই তিনি অসুস্থ রেশমাকে ধাক্কা মেরে ট্রলি থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান বলেও অভিযোগ। অজ্ঞান হয়ে যান রেশমা। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই মৃত্যুর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রোগীর আত্মীয়েরা। প্রথমে চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আরজিকর রোড অবরোধ করেন রেশমার আত্মীয়েরা। এত সব অভিযোগের কথা অবশ্য পুলিশ বা হাসপাতালের কাছে তাঁরা লিখিত ভাবে জানাননি। রেশমার ভাই মহম্মদ তাজবুল্লার অভিযোগ, এ দিন সকালে অস্ত্রোপচারের পরে আর চিকিৎসা হয়নি। তাঁরা চিকিৎসকের খোঁজ করার সময়ে টাকা চান ওই আয়া। থানায় বা হাসপাতালে কেন অভিযোগ করলেন না? রেশমার আত্মীয়দের দাবি, অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না, শুধুই হয়রানি হবে।