Sagar Dutta Hospital

খাদ্যনালীর ফুটো বন্ধ করে প্রাণরক্ষা

চিকিৎসকেরা জানান, সংক্রমণের কারণে ওই প্রৌঢ়ের পেটে ফুটো হয়েছিল। করোনা হওয়ার ফলে তাঁর ফুসফুস এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ০৬:১৭
Share:

ফাইল চিত্র

শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল প্রায় ৭৫ শতাংশে। সঙ্গে অসহ্য পেটে ব্যথা। এইচডিইউয়ে থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীর পেটের এক্স-রে করে চিকিৎসকেরা দেখেন, খাদ্যনালীতে ফুটো রয়েছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার না করলে বিপদ ঘটতে পারে। ঝুঁকি নিয়ে সেই ফুটো বন্ধ করে প্রৌঢ়কে বাঁচাল কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

Advertisement

পেটের যন্ত্রণা নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নিমতার বাসিন্দা ভোলা দাস। কোভিড ধরা পড়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হলেও পেটের যন্ত্রণা কমছিল না। শল্য চিকিৎসক শুভদীপ হালদার বলেন, ‘‘অবিলম্বে অস্ত্রোপচার না করলে রোগীর শরীরে ব্যাক্টিরিয়া ছড়িয়ে প্রাণ সংশয় হতে পারত। তাই দেরি করার ঝুঁকি নিইনি।’’

ওই রোগীর জন্য আলাদা কোভিড অপারেশন থিয়েটারের ব্যবস্থা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই দিন প্রথম সাগর দত্ত হাসপাতালে করোনা রোগীর অস্ত্রোপচার হল। শুভদীপের নেতৃত্বে শল্য বিভাগের আরও দুই চিকিৎসক সায়ন মিস্ত্রি, রুবিনা পরভিন এবং অ্যানাস্থেটিস্ট অঞ্জন দাস, আমির হুদা ও সুদীপ্ত সাহা-সহ ছয় চিকিৎসকের দল পিপিই পরে রাত দেড়টা থেকে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। ওই প্রৌঢ়ের পেট কেটে প্রথমে নাড়ির একাংশ কাটা হয়। সেটি দিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ডিওডেনামে ফুটো বন্ধ করা হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চলে।

Advertisement

চিকিৎসকেরা জানান, সংক্রমণের কারণে ওই প্রৌঢ়ের পেটে ফুটো হয়েছিল। করোনা হওয়ার ফলে তাঁর ফুসফুস এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। তার উপরে ডিওডেনামে ফুটো থাকায় ব্যাক্টিরিয়া ছড়ানোর পাশাপাশি পেটে হাওয়া ভর্তি হওয়ারও আশঙ্কা ছিল। তাতে ফুসফুস আরও কম মাত্রায় কাজ করত। আপাতত ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থিতিশীল রয়েছেন ওই রোগী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement