Patient

ফেরাল পাঁচ হাসপাতাল, বাড়িতে মৃত্যু স্নায়ুরোগীর

শনিবার দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হল দীর্ঘদিন স্নায়ুরোগে ভোগা, বেলুড়ের লালাবাবু সায়র রোডের বাসিন্দা মনোরঞ্জন রায়ের (৪২)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২০ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি

রক্ত জমাট বেঁধেছিল মাথায়। তা নিয়েই পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে চার দিন ধরে ঘুরেও যথাযথ চিকিৎসা মেলেনি বলে অভিযোগ। শেষে নিঃসন্তান ওই ব্যক্তিকে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। শনিবার দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হল দীর্ঘদিন স্নায়ুরোগে ভোগা, বেলুড়ের লালাবাবু সায়র রোডের বাসিন্দা মনোরঞ্জন রায়ের (৪২)।

Advertisement

স্থানীয় একটি চটকলের কর্মী মনোরঞ্জন অসুখের জন্য কাজে যেতে পারতেন না। স্ত্রী সোমাদেবী পরিচারিকার কাজ করেন। ১০ অগস্ট আচমকাই জ্ঞান হারান মনোরঞ্জনবাবু। জ্ঞান ফিরলেও হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তাঁর ছোট ভাই বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘‘উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই শুনে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’ সেখানে মাথার স্ক্যান করা হয় মনোরঞ্জনবাবুর। পরের দিন চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মাথায় রক্ত জমে রয়েছে, অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। তাই তাঁকে আর জি করে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

বিশ্বজিতের দাবি, হাওড়া হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে সেখানে যাওয়ার পরে এক ঘণ্টার জন্য ভর্তি নেওয়া হয়েছিল মনোরঞ্জনবাবুকে। পরে ট্রমা কেয়ারের চিকিৎসক জানিয়ে দেন, অস্ত্রোপচারের যন্ত্র খারাপ। আর এক ভাই কার্তিক রায় বলেন, ‘‘ওই রাতেই এন আর এসে গেলে বলা হয় স্নায়ুরোগ বিভাগে বেড নেই। অন্য জায়গায় রাখলে করোনা হতে পারে। ভয়ে তাই সেখান থেকে চলে আসি। ১২ অগস্ট দাদাকে পিজিতে নিয়ে যাই।’’ অভিযোগ, সেখানেও শয্যা নেই জানিয়ে ১৩ অগস্ট যেতে বলা হয়। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘১৩ তারিখেও বাঙুর আর পিজির জরুরি বিভাগে বারবার ঘুরেও দাদাকে ভর্তি করা যায়নি।’’ শেষে দাদাকে তাঁরা বাড়ি ফিরিয়ে আনেন।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীরা অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় ফের সেই অভিযোগ উঠল। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘যদি এমন ঘটে থাকে তা হলে ঠিক হয়নি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আর সোমাদেবীর আক্ষেপ, ‘‘শুধু ঘুরেই গেলাম। একবারও কেউ ঠিকঠাক চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement