প্রতীকী ছবি।
রাতপাহারার ব্যবস্থা কোথাও আছে, কোথাও নেই। সিসি ক্যামেরাও কোথাও আছে, কোথাও নেই। ভরসা বলতে শুধুই পুলিশের টহলদারি। সম্প্রতি সল্টলেকের এএইচ ব্লকে চুরির চেষ্টার ঘটনার পরে উপনগরীর বিভিন্ন ব্লকে রাতপাহারার ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
এক সময়ে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছিল সল্টলেক। চুরি-ডাকাতি, ডাকাতি করতে এসে গুলি করে দেওয়া অথবা লুটপাট করতে এসে কেয়ারটেকারের মেয়েকে ধর্ষণ— এমন একাধিক ঘটনা সল্টলেকে ঘটেছে। সে সব ঘটনার পরে পুলিশের পাশাপাশি সুরক্ষার স্বার্থে বিধাননগরের আবাসিকেরাও বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিলেন।
যেগুলির অনেক কিছুই এখন আর নেই।
বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ জানাচ্ছে, ১০০ নম্বর ডায়ালের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি কখন কোথায় রয়েছে, তার উপরে নজর রাখা যায় ‘প্রহরী’ অ্যাপের মাধ্যমে। রয়েছে বাইকে পুলিশি টহলদারির ব্যবস্থাও।
এ সব ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ব্লকের রাস্তায় নৈশ প্রহরার
বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে ব্লক কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে বলে দাবি বিধাননগরের পুলিশ আধিকারিকদের। বর্তমানে সল্টলেকের বহু ব্লকেই নাইট গার্ড বা নৈশ নিরাপত্তারক্ষী
রাখার রেওয়াজ উঠে গিয়েছে। সেই কারণে ব্লকের বিভিন্ন রাস্তায় সিসি ক্যামেরা বসাতে বলা হচ্ছে। যাতে কোনও অপরাধের ঘটনা
ঘটলে দুষ্কৃতীকে সহজে চিহ্নিত করা যায়।
এএইচ ব্লকে সম্প্রতি এক রাতে তিনটি বাড়িকে নিশানা করতে চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তার মধ্যে একটি বাড়ির লোহার গেটের তালা ভেঙে তারা ভিতরেও ঢুকে পড়ে। পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছলেও আধিকারিকের হাতে কামড়ে দিয়ে পালায় চোরেরা। আপাতত ওই ব্লকের বাসিন্দারা ঠিক করেছেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা ও নৈশ প্রহরার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পুলিশ জানাচ্ছে, নিরাপত্তারক্ষীরা রাতে ব্লকের রাস্তায় সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে তাঁর পরিচয় জানতে চাইবেন। প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাবে। আবাসিকদের একটি অংশ জানাচ্ছেন, সকলে চাঁদা দিতে রাজি না থাকায় অনেক ব্লকে হয় নিরাপত্তারক্ষীই নেই, নয়তো তাঁদের সংখ্যা অপ্রতুল। সিসি ক্যামেরার নজরদারিও এখনও সর্বত্র নেই।
পুলিশ জানাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই রাস্তায় সিসি ক্যামেরা না থাকায় তদন্তের সময়ে আবাসিক বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজের উপরে নির্ভর করতে হয়। তাই সল্টলেক-সহ গোটা বিধাননগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে সেখানে ৪০০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা পুরভোটের ইস্তাহারে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধাননগর টাউন তৃণমূলের সভাপতি তুলসী সিংহরায়।