শোভন চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা পুরসভার বাজেট পেশের আগে অধিবেশন কক্ষে মেয়র সময়ে হাজির না হওয়ায় শুরুতেই ঘটল ছন্দপতন। যার জেরে হইচই বাধিয়ে দেন বিরোধীরা। পাল্টা চিৎকারে নামেন শাসক দলের প্রতিনিধিরাও। শনিবার বেলা একটায় ছিল বাজেট অধিবেশন। নির্দিষ্ট সময়েই কক্ষে ঢুকে গিয়েছিলেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। বাজেট পেশ করবেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু তাঁর দেখা নেই। সময় যত এগোতে থাকে, ততই অস্বস্তি বাড়ে পুর প্রশাসনের। বাজেটের বইও তত ক্ষণে দেওয়া হয়ে গিয়েছে কাউন্সিলরদের। বাজেট পেশ করা হল না, অথচ বই চলে গেল কাউন্সিলরদের হাতে! এ নিয়ে হইচই শুরু করে দিন বিরোধীরা। আরও কয়েক মিনিট পরে, প্রায় সওয়া একটা নাগাদ অধিবেশন কক্ষে ঢুকলেন মেয়র। তার পরে অবশ্য সব চুপচাপ।
পুর অফিসারেরা অবশ্য জানান, এ দিন বেলা ১২টায় মেয়র পরিষদের বৈঠক ছিল। তাই সময়েই পুরসভায় নিজের ঘরে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন মেয়র। তবে অধিবেশন কক্ষে কিছু ক্ষণ পরে কেন ঢুকলেন, তার কারণ অবশ্য জানাতে পারেননি ওই অফিসারেরা।
মেয়র অধিবেশন কক্ষে ঢুকেই বাজেট বিবৃতি দিতে শুরু করেন। জানিয়ে দেন, এ বারও ঘাটতি বাজেট। ঘাটতির পরিমাণ ১২৭ কোটি টাকা। গত বার ছিল ১৫৯ কোটি। তিনি জানান, আগামী আর্থিক বছরে ৩৬৩৭ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। আয় দেখানো হয়েছে ৩৫০৯ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব খাতে আয় বাড়ানোর কথাও বাজেটে বলা হয়েছে। যদিও বিরোধী দলনেত্রী, সিপিএমের রত্না রায়মজুমদার বলেন, ‘‘এই বাজেটে মানবসম্পদ বাড়ানোয় নজর দেওয়া হয়নি। নেই আয় বাড়ানোর উৎসও। বছরের পর বছর ঘাটতি বাজেট পেশ করছেন মেয়র।’’
আর মেয়র দাবি করেন, শহরে জল সরবরাহ থেকে আলো, রাস্তা, জঞ্জাল অপসারণ, নিকাশি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় অনেক সাফল্য এনেছে পুর প্রশাসন। ভবিষ্যতে জন পরিষেবা আরও উন্নত করা হবে।