দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
ফের বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল এক নাগরিকের। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ আলিপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রথীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৫)। তাঁর বাড়ি ঠাকুরপুকুরে। নিউ আলিপুরের ‘এ’ ব্লকের একটি বাড়িতে তিনি নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। আর পাঁচ দিনের মতো শুক্রবার রাতেও রথীন্দ্রনাথবাবু ডিউটি করছিলেন। সে সময়ে একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরেই গাড়ি ফেলে অভিযুক্ত চালক পালিয়ে গিয়েছেন। শনিবার রাত পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে গাড়িটিকে হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ওই গাড়িটি আলিপুরের বর্ধমান রোডের একটি সংস্থার নামে নথিভুক্ত রয়েছে। গা়ড়িটিতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
কলকাতায় বেপরোয়া গাড়ি নতুন নয়। গত ২৯ এপ্রিল ভোরে লেক মার্কেটের কাছে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের। ওই গাড়ির চালকের সিটে
ছিলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের দাবি, মদ্যপান করে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বিক্রম। তিনি নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই গাড়িটি উল্টে গিয়েছিল বলে সন্দেহ। ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি বেপরোয়া ভাবে গা়ড়ি চালিয়ে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়ায় বায়ুসেনার অফিসার অভিমন্যু গৌড়কে ধাক্কা দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মহম্মদ সোহরাবের ছেলে সাম্বিয়া। ওই অফিসারের মৃত্যুর পরে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়।
পুলিশের একাংশ বলছে, প্রতিটি দুর্ঘটনার পরেই লালবাজারের কর্তারা বেপরোয়া গাড়ির বিষয়টি নিয়ে নাড়াচা়ড়া করেন। তার পরে ধীরে ধীরে সব কিছু থিতিয়ে যায়। সোনিকার মৃত্যুর পরে নিউ আলিপুরের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করেছে।