লালবাজার

ত্রিফলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট প্রৌঢ়, প্রশ্নে নজরদারি

মাস খানেক আগে বর্ষার জমা জল ঠেলে চলতে গিয়ে পিছলে পড়ে যাচ্ছিল এক কিশোর। নিজেকে সামলানোর জন্য সে ধরেছিল রাস্তার পাশের ত্রিফলা আলোর স্তম্ভ। আর তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বছর চোদ্দোর ওই কিশোরের। ভবানীপুরের রমেশ মিত্র রোডের ওই ঘটনার পরেই অবশ্য নড়েচড়ে বসেছিল পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৭
Share:

মাস খানেক আগে বর্ষার জমা জল ঠেলে চলতে গিয়ে পিছলে পড়ে যাচ্ছিল এক কিশোর। নিজেকে সামলানোর জন্য সে ধরেছিল রাস্তার পাশের ত্রিফলা আলোর স্তম্ভ। আর তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বছর চোদ্দোর ওই কিশোরের। ভবানীপুরের রমেশ মিত্র রোডের ওই ঘটনার পরেই অবশ্য নড়েচড়ে বসেছিল পুরসভা।

Advertisement

দেখা যায়, শহরের অনেক জায়গাতেই ত্রিফলা আলোর স্তম্ভের মাঝে যে অংশটি পাল্লা বন্ধ করা থাকে, সেটি ভাঙা রয়েছে। আর সেখান দিয়ে বিদ্যুতের তার বেরিয়ে রয়েছে। আর তা থেকেই ঘটছে দুর্ঘটনা। যেমন ভবানীপুরের লেডিস পার্কের সামনের বাতিস্তম্ভেও ছিল। আর পিছলে পড়ে যাওয়ার সময় নিজেকে সামলাতেই তা ধরতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল ওই পড়ুয়া। ঘটনার পরে তড়িঘড়ি পুরসভা ত্রিফলা বাতি স্তম্ভের মাঝে ওই সমস্ত ভাঙা পাল্লার অংশগুলিতে প্লাস্টিক টেপ দিয়ে মুড়ে দিতে শুরু করে। কিন্তু সোমবার রাতে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের বাহির দরজার উল্টো দিকের ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের মাঝের অংশে প্লাস্টিক টেপ দিয়ে মোড়া থাকলেও ঘটল দুর্ঘটনা। ওই বাতি স্তম্ভের হেলান দিয়ে দাঁড়াতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন হাওড়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের চন্দন অগ্রবাল।

এ দিনের এই ঘটনার পরে উঠে এসেছে প্রশ্ন। পথচারী ও সাধারণ মানুষের দাবি, ত্রিফলা আলো স্তম্ভের মাঝের ওই সমস্ত খোলা অংশে প্লাস্টিক জড়ানোর পরেও দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না কিংবা সেই কাজটিও ঠিক মতো হচ্ছে কি না তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কেননা, এ দিন লালবাজারের সামনে যে আলো স্তম্ভে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানেও প্লাস্টিক জড়ানো ছিল। কিন্তু তার পরেও ওই ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।

Advertisement

কী ঘটেছিল?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া মন্দিরতলা এলাকার বাসিন্দা চন্দনবাবু এন এস রোডে অফিস রয়েছে। এ দিন সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি বন্ধুদের সঙ্গে লালবাজারে এসেছিলেন কোন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে।

কাজ হয়ে যাওয়ার পরে বাইরে এসে তিনি ও তাঁর বন্ধুরা বাহির গেটের সামনের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় চন্দনবাবু ওই বাতিস্তম্ভে হেলান দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছটফট করতে শুরু করেন। বন্ধুরা চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেননি। কিছুক্ষণ পরে নিজে থেকেই ফুটপাথে ছিটকে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ঘটনার পরে ওই বাতিস্তম্ভটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি, লালবাজারের সামনের সমস্ত ত্রিফলা আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement