—প্রতীকী ছবি।
বিশাল ঘরে দু’পাশের দেওয়াল বরাবর জমে রয়েছে ধুলোমাখা ফাইলের স্তূপ। এই চিত্র কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের তেতলায় আইন বিভাগের। ওই বিভাগের অধিকাংশ জায়গাতেই দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবে পড়ে রয়েছে বহু সংখ্যক পুরনো ফাইল। সেগুলির উপরে জমেছে পুরু ধুলোর স্তর। তার আশপাশে বসে কাজ করতে কর্মীদের যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনই সেই স্তূপে কোনও ভাবে আগুন লাগলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কাও রয়েছে বলে অভিযোগ।
আইন বিভাগে ঢুকে ডান দিক বরাবর সোজাসুজি গেলে পৌঁছে যাওয়া যায় মুখ্য আইন আধিকারিকের অফিসে। তার পাশেই রয়েছে উপ মুখ্য আইন আধিকারিকের অফিস। এ ছাড়াও ভিতরে একাধিক কর্মী কাজ করেন। স্তূপাকৃতি, ধুলোমাখা ফাইলের জেরে হয়রান সবাই। আইন বিভাগের এক কর্মীর অভিযোগ, ‘‘ওই সব ধুলোমাখা ফাইলের জেরে দমবন্ধ হওয়ার জোগাড় দফতরে। সেগুলি দ্রুত সরানোর দরকার।’’ দীর্ঘদিন ধরে ওই সব ফাইল পড়ে থাকলেও কেন সরানো হচ্ছে না? এ প্রসঙ্গে মুখ্য আইন আধিকারিক সেলিম আনসারি বলেন, ‘‘আসলে আইনি ফাইলগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এত দিন সেগুলি অন্য কোথাও রাখার জায়গা ছিল না। পুরনো ফাইলগুলি সরানোর জন্য সম্প্রতি পুর সচিবালয় বিভাগ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে। ধীরে ধীরে ফাইলগুলি সরানো হবে।’’
সম্প্রতি পুরসভা চত্বর ঘুরে দেখা গিয়েছে, চারতলায় অর্থ বিভাগের সামনেও পড়ে রয়েছে বেশ কিছু ফাইল। অর্থ বিভাগের এক কর্মী আশ্বাস দেন, সেগুলি দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে। একই ভাবে পুরভবনের নীচে, পাঁচ নম্বর গেট লাগোয়া ট্রেজ়ারি বিভাগের সামনেও একাধিক বস্তাভর্তি নানা সামগ্রী ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলি দিনের পর দিন পড়ে থাকায় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মীদের একাংশ। সামনেই আসছে বর্ষার মরসুম। এই ভাবে আবর্জনা জমে থাকলে তা কর্মীদের স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে বলেও তাঁদের আশঙ্কা। পুরসভার এক আধিকারিকের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘পুরভবনের ভিতরে ডাঁই হয়ে থাকা সমস্ত সামগ্রী শীঘ্রই সরিয়ে ফেলা হবে। ওই কাজের অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে।’’