ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনি-শিয়ালদহ শাখার বালি হল্ট ও বালিঘাট স্টেশনের মাঝে। রেলপুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম নেপাল ঘোষ (৫২)।
গত ২ এপ্রিল রাতে ভিড় ট্রেনে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়ার সময়ে হাওড়া শাখার বালি স্টেশনের কেবিনের কাছে লোকাল ট্রেন থেকে পড়ে জখম হন দুই ব্যক্তি। রেলপুলিশ জানাচ্ছে, কেবিনের কাছে ট্রেনের গতি কম থাকায় পড়ে গিয়েও তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। তবে এ দিন ট্রেনের গতি বেশি থাকায় পড়ে গিয়ে মাথায় মারাত্মক চোট পান নেপালবাবু। হাসপাতালে ভর্তি করার ঘণ্টা দেড়েক পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রেলপুলিশ সূত্রের খবর, প্রতি দিনের মতোই এ দিনও সকালে শ্রীরামপুরের রাজ্যধর গভর্নমেন্ট কলোনির বাসিন্দা নেপালবাবু দমদমে কাজে যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে লোকাল ট্রেন ধরে তিনি প্রথমে হাওড়া শাখার বালি স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে বালি হল্ট স্টেশনে গিয়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ শিয়ালদহমুখী লোকাল ট্রেনে উঠেছিলেন। নিত্য যাত্রীদের দাবি, শিয়ালদহ-ডানকুনি শাখায় অধিকাংশ লোকাল ট্রেনই প্রায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে চলাচল করে। তাই ভিড়ে ঠাসা থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে তাতে উঠতে বাধ্য হন যাত্রীরা।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, ট্রেনে ভিড় থাকায় কোনওমতে এ দিন তাতে উঠে দরজায় দাঁড়িয়েছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী নেপালবাবু। বালি হল্ট স্টেশন থেকে প্রায় ৭০ ফুট দূরে তিনি আচমকাই পড়ে যান। রেললাইনের ধারে থাকা পাথরে আঘাত লেগে মাথা ফেটে যায় ওই প্রৌঢ়ের। তদন্তকারীদের অনুমান, ভিড়ের চাপে কোনও ভাবে হাত ফস্কে গেলে পড়ে যান তিনি।
রেলপুলিশ জানায়, প্ল্যাটফর্মে কর্মরত পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারেরা রক্তাক্ত অবস্থায় নেপালবাবুকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে প্রৌঢ়ের স্ত্রী-মেয়ে বেলুড় জিআরপি-তে আসেন। রেলপুলিশ জানায়, ভিড় ট্রেনে না উঠতে এ দিনও বিভিন্ন স্টেশনে হ্যান্ড মাইক নিয়ে প্রচার চালিয়েছে বেলুড় জিআরপি।