প্রতীকী ছবি।
বিধাননগর, পাঁচ নম্বর সেক্টর এবং নিউ টাউনে সোমবার থেকে খুলতে শুরু করেছে তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার অফিস এবং শপিং মল। প্রথম দিন দেখা গিয়েছে মিশ্র ছবি। বিধাননগর এবং নিউ টাউনে যাঁরা কর্মস্থলের কাছাকাছি থাকেন, তাঁরা এ দিন কাজে আসতে পারলেও ট্রেন ও মেট্রো বন্ধ থাকায় দূরের কর্মীরা অনেকেই আসতে পারেননি। অফিসযাত্রীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, এ দিন সরকারি-বেসরকারি বাস পথে নামলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল খুবই কম। ফলে অফিস যেতে এবং বাড়ি ফিরতে তাঁদের যথেষ্ট দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। যদিও পুলিশ সূত্রের দাবি, গত সপ্তাহের তুলনায় এ দিন বেশি বাস-অটো নেমেছিল। ফলে কোথাও কোথাও যানজটও লক্ষ করা গিয়েছে।
উত্তরপাড়া থেকে সেক্টর ফাইভের অফিসে আসা এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী জানালেন, এ দিন একাধিক বার বাস বদলে তাঁকে আসতে হয়েছে। ফলে যাতায়াতের খরচও বেশি হয়েছে। ময়ূখ ভবনে কর্মরত এক কর্মচারী জানালেন, যাঁরা বেহালা, বারাসত, বারুইপুর, সোনারপুর থেকে সল্টলেকে অফিসে আসেন তাঁদের একটা বড় অংশ এ দিন আসতে পারেননি। যাঁরা এসেছেন, পর্যাপ্ত গণপরিবহণ না-থাকায় তাঁদেরও বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অনেকেই চড়া দামে গাড়ি ভাড়া করে অফিসে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
পাশাপাশি, এ দিন থেকে পাঁচ নম্বর সেক্টর এবং নিউ টাউনের বিভিন্ন অফিস বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেছে। নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ এবং হিডকো সূত্রের খবর, এ দিন ২৩ শতাংশ তথ্যপ্রযুক্তি অফিস খুলেছে। এসেছিলেন প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী। ফলে শিল্পতালুকে খাবারের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় সেক্টর ফাইভের হকারদের যাতে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়, তার জন্য নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল হকার ওয়েলফেয়ার ইউনিয়ন। দূরত্ব-বিধি মেনে কী ভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে এ দিন ১৫ জন হকারকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে নবদিগন্ত।
সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার থেকে শিল্পতালুকে রাস্তার ধারের সব খাবারের দোকান জীবাণুমুক্ত করা শুরু হবে। নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের এক শীর্ষ কর্তা জানান, হকারদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাঁদের দেওয়া হয়েছে। বলে দেওয়া হয়েছে, ক্রেতারা মাস্ক না-পরলে তাঁদের খাবার দেওয়া যাবে না। বিক্রেতাদেরও বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতে হবে। হকার সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব নিয়ম মেনে দ্রুত দোকান খোলা হবে।