এসএসকেএম ট্রমা কেয়ার বিভাগ। —ফাইল চিত্র।
গত বছরের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে আগেভাগেই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বর্ষবরণের সন্ধ্যা থেকে নতুন বছরের প্রথম দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দুর্ঘটনায় জখম হওয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা এ বার এসএসকেএম হাসপাতালে অনেকটাই কম। জানা যাচ্ছে, এই সময়কালে এ বার ওই হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে এসেছেন ১৬৯ জন। তাঁদের মধ্যে ভর্তি করতে হয়েছে ২২ জনকে। চিকিৎসকদের কথায়, ‘‘গত বছর মস্তিষ্কে চোট পাওয়া রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। এ বার হাত-পাসহ অন্যান্য জায়গার হাড় ভাঙারোগী বেশি এসেছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’
জানা যাচ্ছে, ২২ জনের মধ্যে মাথায় আঘাত নিয়ে ‘রেড’ এবং ‘ইয়েলো’ জ়োনে ভর্তি আছেন মোট ৮ জন। ৩১ ডিসেম্বর, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ট্রমা কেয়ারে এসেছেন ১২৩ জন (কলকাতা পুলিশ এলাকা থেকে আনা হয়েছে চার-পাঁচ জনকে)। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন(কলকাতা পুলিশ এলাকায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক জন)। আবার, ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রোগী এসেছেন ৪৬ জন, ভর্তি হয়েছেন ৫ জন (কলকাতা পুলিশ এলাকায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত ২ জন)। অস্ত্রোপচার হয়েছে মাত্র ছ’জনের।
সেখানে ২০২২-এর ৩১ ডিসেম্বর, বর্ষবরণের রাত থেকে ২০২৩-এর ১ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত ট্রমা কেয়ারে আসা ১৬৫ জনের মধ্যে ভর্তি করতে হয়েছিল ৪০ জনকে। এক জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। অতি সঙ্কটজনক ছিলেন ৯ জন এবং ২৫ জনের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি চালু করতে হয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ওয়ার্ড।
সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে গত ৩০ ডিসেম্বর স্নায়ু শল্য, শল্য, অস্থি, নাক-কান-গলা সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক এবং আধিকারিকদের নিয়ে ট্রমা কেয়ারের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। ট্রমা কেয়ারে থাকা ৩৫টি ভেন্টিলেটর ছাড়াও শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে আরও ১৫টি যন্ত্র এনে রাখা হয়। যদিও ভেন্টিলেটর তেমন প্রয়োজন হয়নি।
সূত্রের খবর, কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা রোগী ছিলেন বেশি। মোতায়েন ছিল পুলিশও। ট্রমা কেয়ার থেকে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল লালবাজারের সঙ্গে।