দূষণে জমা হবে রিপোর্ট

রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ খালি চোখে ধরা পড়েছিল আগেই। এ বার তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। আগামী মাসেই কমিটি আদালতের কাছে এই রিপোর্ট পেশ করতে পারে বলে খবর।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ ও কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০১:১০
Share:

রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ খালি চোখে ধরা পড়েছিল আগেই। এ বার তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। আগামী মাসেই কমিটি আদালতের কাছে এই রিপোর্ট পেশ করতে পারে বলে খবর।

Advertisement

রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ পরিবেশকর্মীদের চোখে ধরা পড়েছিল আগেই। জলে ভেসে থাকা প্লাস্টিক, মাঝেমধ্যেই মাছের মড়ক নিয়ে শোরগোলও হয়েছিল। লেক এলাকায় এই দূষণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর অভিযোগের নিশানায় পড়েছে লেক এলাকার ক্লাবগুলিও। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই রাজ্য জীববৈচিত্র পর্ষদের চেয়ারম্যান অশোককান্তি সান্যালের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করেছে পরিবেশ আদালত।

কমিটি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই লেক এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন সদস্যেরা। কথা বলা হয়েছে ক্লাব, কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত নজরদারি কমিটি এবং লেকে বেড়াতে আসা আমজনতার সঙ্গেও। রিপোর্ট তৈরির কাজও অনেকটা এগিয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিনই তা পেশ করা হতে পারে। লেকের ভারপ্রাপ্ত কলকাতা উন্নয়ন সংস্থার (কেআইটি) এক কর্তা বলেন, ‘‘সরোবরের দূষণ কতটা এবং তার ফলে কোথায় কোথায় ক্ষতি হচ্ছে, সেই নিয়েই এই সামগ্রিক সমীক্ষা।’’

Advertisement

সুভাষবাবু জানান, রবীন্দ্র সরোবর জাতীয় হ্রদ সংরক্ষণ প্রকল্পের অন্তর্গত। কিন্তু এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। পরিবেশ বিধি না মেনে উৎসব-অনুষ্ঠানের ফলে লেক এলাকার গাছে বসবাসকারী পাখিদের ক্ষতি হচ্ছে। সরোবরের জলে দূষণের ফলে মাছ মারা যাচ্ছে। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরোবরের জলে শ্যাওলার পরিমাণ বেশি। জলে যত্রতত্র ভেসে বেড়ায় প্লাস্টিকের বোতল এবং আবর্জনা। প্রচুর বড় গাছও মরে গিয়েছে। হাইকোর্ট মনোনীত রবীন্দ্র সরোবর নজরদারি কমিটির সদস্য সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, শুধু জলের দুষণ বা গাছ মরে যাওয়ার বিষয় নয়, সরবোররে মধ্যে আলোর আধিক্য এবং নির্মাণকাজের ফলে সামগ্রিক ভাবে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।

কেআইটি কর্তৃপক্ষ অবশ্য রবীন্দ্র সরোবরের জলে দূষণের কথা মানছেন না। তাঁদের পাল্টা দাবি, রাজ্য পরিবেশ দফতর-সহ বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে সরোবরের জলের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে দুষণের প্রমাণ মেলেনি। তবে সরোবরে শ্যাওলা জমে গিয়ে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরির কথা মেনে নিয়েছেন তাঁরা। কেআইটি জানিয়েছে, বর্তমানে জলের কোথাও যাতে শ্যাওলা না জমে, সেই কারণে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement