—প্রতীকী ছবি
অ্যাপের মাধ্যমে বরাত দিলেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে জৈব চাষের আনাজ এবং রান্না করা খাবার। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে অনলাইনে এই পরিষেবা মিলবে ২৬ জানুয়ারি থেকে।
‘নেচারবাজার’ নামের ওই অ্যাপটি পর্ষদের ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করোনার সংক্রমণ থেমে নেই। তার উপরে ছোট পরিবারে বাজার করার সময় পাওয়াও সমস্যার। মানুষের সুবিধায় সারা কলকাতায় এই পরিষেবা দেওয়া হবে।’’ দফতর সূত্রের খবর, এখন হাওড়ার নবান্ন থেকে পূর্ব কলকাতার ই এম বাইপাস, বিমানবন্দর, ডানলপ, সল্টলেক ছাড়াও গোটা কলকাতায় এই অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী মিলবে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের ২২টি খামার রয়েছে। সেখানে জৈব পদ্ধতিতে বিভিন্ন আনাজের চাষ হয়। বর্ধমানের ওড়গ্রাম, কালনা থেকে পুরুলিয়ায় পর্ষদের খামারে কড়কনাথ মুরগি, বনমুরগি, টার্কি এবং ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট প্রজাতির ছাগল প্রতিপালন করা হয়। পর্ষদের প্রশাসনিক সচিব সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘‘কলকাতাবাসীরা অ্যাপের মাধ্যমে ওই সমস্ত মাংসের অর্ডার দিতে পারবেন। পাশাপাশি, পর্ষদের অধীন জলাশয়ে মাছ চাষ হচ্ছে। সেই সবও মিলবে।’’
পর্ষদ সূত্রের খবর, সল্টলেকের মৃত্তিকা ভবনের রান্নাঘর থেকে বিভিন্ন জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের তৈরি খাবার শহরবাসীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে। সুব্রতবাবুর কথায়, ‘‘শহরের নামী রেস্তরাঁর পাচকদের দিয়ে ওই সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃত্তিকা ভবনের রান্নাঘরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’