ফাইল চিত্র।
পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছে। এ বার নিউ টাউন থেকে বাইক ট্যাক্সি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরো বিধাননগর কমিশনারেট এলাকাতেই। পরিবহণ কর্তাদের আশা, শুধু অফিস যাত্রীরাই নন, এর সুবিধে নেবেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়ে ১ ও ২-এ পরীক্ষামূলক ভাবে বাইক ট্যাক্সি চালু হয়েছিল। সেখানে আপাতত দু’টি সংস্থার মোট ৪৬টি মোটরবাইক ওই পরিষেবা দেয়।
এ বার বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় ওই দু’টি সংস্থাই পরিষেবা দেবে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই বিধাননগর এলাকায় বাইক ট্যাক্সি চলার প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যে সব বাইক ট্যাক্সি চলছে, সেগুলির পারমিট এলাকা বাড়িয়ে দেওয়ার কাজটি শুধু বাকি।’’ ওই কর্তা জানান, একই সঙ্গে আরও দু’টি সংস্থাও ওই পরিষেবা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। খুব শীঘ্রই তাদেরও প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হবে।
পরিবহণ দফতরের কর্তারা মনে করছেন, ইতিমধ্যেই ওলা-উবেরের মতো বড় সংস্থা এ শহরে বাইক ট্যাক্সি চালানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। বিধাননগর কমিশনারেটে সাফল্য মিললে ওই দুই সংস্থাও আবেদন করতে পারে বলে আশা তাঁদের। সে ক্ষেত্রে অবশ্য নিয়মকানুন কিছু পাল্টানো হতে পারে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর।
ওই পরিবহণ কর্তার বক্তব্য, ‘‘নিউ টাউনের মতো বিধাননগর কমিশনারেট এলাকাতেও অনেক জায়গায় পরিবহণ পরিষেবা যথেষ্ট দুর্বল। সে ক্ষেত্রে অফিসযাত্রী এবং বাসিন্দারা কম পয়সায় দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা নিতেই পারেন।’’ বাইক ট্যাক্সির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত নিয়ম একই থাকছে। বাইকওয়ালা নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের বিস্তারিত খতিয়ে দেখে নিতে হবে সরকারের নির্দিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাকে দিয়ে।
নিয়মিত বাইকগুলির চলাফেরার রেকর্ড রাখতে হবে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে।