দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
এক সময়ে গাছগাছালিতে ভরা ছিল পুর এলাকা। নগরায়ণের ধাক্কায় সেই সবুজ কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে। উত্তর দমদম পুর এলাকা যত শহরের চেহারা নেবে, ততই সবুজ কমবে সেখানে। এমনই আশঙ্কা সেখানকার অনেক বাসিন্দার। যদিও পুরসভার দাবি, সবুজ রক্ষা করতে সচেতনতার প্রচার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক চারা রোপণ-সহ একাধিক কর্মসূচি করা হচ্ছে। তবে এ বার পুরনো গাছ চিহ্নিত করা, তার পরিচর্যা করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উত্তর দমদম পুরসভা।
সেখানকার বাসিন্দাদের কথায়, পুর এলাকার চার ধারে তিনটি বড় সড়ক, কাছেই বিমানবন্দর, রেল স্টেশন রয়েছে। ক্রমশ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বসতি থেকে শুরু করে নানা বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড। তারই ধাক্কায় গাছগাছালি কমছে বলে অভিযোগ। তাপস মুখোপাধ্যায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘প্রাচীন এই জনপদে বহু পুরনো সব গাছ রয়েছে। অবিলম্বে সেগুলি রক্ষা করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করুক প্রশাসন। কখনও ডালপালা ছাঁটার নামে, কখনও সরকারি কাজের জন্য, কখনও বসতি বা সরকারি-বেসরকারি অফিস তৈরির কাজে কোপ পড়ে গাছের উপরে। সবুজ অনেকটাই রয়েছে। সেগুলিকে রক্ষা করা হোক।’’
আবার বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, শুধু চারা রোপণ করলেই চলবে না। নিয়মিত তার রক্ষণাবেক্ষণও জরুরি। এম বি রোড ঢেলে সাজানো হচ্ছে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে কাজ চলছে। কিছু দিন পরে সেই রাস্তা মিশে যাবে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। সেই সব রাস্তার ধারে পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ বসানো এবং তার পরিচর্যার প্রয়োজন বলে মত বাসিন্দাদের। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, শুধু পুরনো গাছ বা সবুজ রক্ষা নয়, জলাভূমি রক্ষার দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
উত্তর দমদম পুরসভার এক পুরকর্তা জানান, সবুজ রক্ষা কিংবা জলাভূমি রক্ষা নিয়ে পুরসভা সচেষ্ট। নিয়মিত পরিচর্যার ক্ষেত্রে কাজের গতি আরও বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, সবুজ বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করা হয়েছে। পুরনো গাছ সংরক্ষণ নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। সেই সব গাছ চিহ্নিতকরণ এবং নিয়মিত পরিচর্যা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।