মহিলাকে খুনের কিনারা হল না এখনও

চৌবাগার লকগেট থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলা খুনের কিনারা হল না শনিবারও। তবে পুলিশের অনুমান, খুনের পিছনে একাধিক সম্পর্কের টানাপড়েন থাকতে পারে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:১২
Share:

অর্চনা পালংদার।

চৌবাগার লকগেট থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলা খুনের কিনারা হল না শনিবারও। তবে পুলিশের অনুমান, খুনের পিছনে একাধিক সম্পর্কের টানাপড়েন থাকতে পারে।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, ওই জট কাটাতেই শুক্রবার থেকে দফায় দফায় মৃত অর্চনা পালংদারের স্বামী পিন্টুকে জেরা করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকেই অর্চনার একাধিক সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তাঁদের এক জনকেও পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা এবং অর্চনার পরিচিত অন্য যুবকের খোঁজ পুলিশ শনিবার রাত পর্যন্ত পায়নি। তাঁর মোবাইল বন্ধ রয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার আগে ভিন্ রাজ্যের ওই যুবকের সঙ্গেই অর্চনাকে দেখা গিয়েছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অর্চনার মোবাইলটি শনিবারও উদ্ধার হয়নি। তবে তাঁর ফোনের কল ডিটেলেস ঘেঁটে ওই যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শনিবার রাতে অর্চনার দেহ হাতে পান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু অর্চনা উল্টোডাঙা থেকে বেরিয়ে কী ভাবে চৌবাগায় পৌঁছলেন, তা নিয়ে অন্ধকারে তদন্তকারীরা।

বৃহস্পতিবার আনন্দপুর থানার চৌবাগা লকগেট থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় সালোয়ার-কামিজ পরা অর্চনার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার তাঁর স্বামী মর্গে গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। পুলিশ জানতে পারে, উল্টোডাঙার বাসিন্দা অর্চনা বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বার হন। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। পরের দিন সংবাদ মাধ্যমে ছবি দেখে স্ত্রীকে শনাক্ত করেন পিন্টু।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, অর্চনা নিখোঁজ হওয়ার পরেই ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা যুবকের স্ত্রী পিন্টুকে ফোন করেন। তদন্তকারীদের দাবি, তিনি পিন্টুকে জানান যে তাঁর স্বামীর খোঁজ পাচ্ছেন না। স্বামীর মোবাইলটিও বন্ধ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, ওই যুবক অর্চনার সাত বছরের ছেলেকে সাইকেল কিনে দিয়েছিল। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই যুবকের সঙ্গে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ ছিল অর্চনার। এ ছাড়াও অর্চনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এমন দু’জনের নাম জেনেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা অর্চনার মোবাইলের শেষ টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখছেন। দেখা হচ্ছে সন্দেহভাজনদের ফোনের অবস্থানও। এ দিন মর্গে গিয়েছিলেন হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement