ভাড়াটে থেকে শুরু করে পরিচারক-পরিচারিকা, কেয়ারটেকার এমনকী ভাড়ায় চলা অফিস সম্পর্কে তথ্য মজুত রাখতে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হবে, এমনটাই জানিয়েছিল বিধাননগর পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু বাসিন্দাদের একটি অংশের অসহযোগিতার জন্য এখনও বহু ক্ষেত্রে ভাড়াটে থেকে শুরু করে বহিরাগতদের তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকের বিডি ব্লকে একটি খুনের ঘটনার পরে ফের সামনে এসেছে তথ্যভাণ্ডারের প্রশ্নটি।
পুলিশ এবং পুরসভার একটি অংশের অভিযোগ, তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের একাংশ সহযোগিতা করছেন না। এ দিন বিডি ব্লকে এক প্রৌঢ়কে নৃশংস খুনের পরে স্থানীয় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তথ্য জানতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাচ্ছি না।’’ বিডি ব্লকের যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই বাড়ির একতলায় ভাড়া নিয়ে একটি অফিস চলছে বলে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, গ্যারাজও ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছেন কাউন্সিলর।
যদিও বাসিন্দাদের একটি অংশের পাল্টা দাবি, পরিচারক-পরিচারিকা বা কেয়ারটেকারের পরিচিতি চাইতে গেলে তাঁরা কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। আবার অন্য একটি অংশের মতে, ভাড়াটে থাকলে বাড়ির সম্পত্তিকরে হেরফের ঘটে। সে কারণেও অনেকের ক্ষেত্রেই তথ্য গোপনের প্রবণতা দেখা যায়।
প্রশাসন অবশ্য বলছে, গত কয়েক বছরে সল্টলেকে চুরি থেকে শুরু করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। ফলে সুরক্ষার স্বার্থেই বাসিন্দাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চলছে। তবে এটা ঠিক, অনেকে তথ্য দিতে চাইছেন না। তা সত্ত্বেও প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, তথ্যভাণ্ডার তৈরির ক্ষেত্রে এখনও পর্যাপ্ত সহযোগিতা মেলেনি। তা-ও পুলিশ কাজ চালাচ্ছে।