নেই বাসরুট। তাই বোড়ালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য অটো আর ম্যাজিক গাড়ির উপরে নির্ভর করতে হয়। বাসরুট চালু করার দাবি জানিয়ে বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট মহলে আবেদনপত্রও জমা দিয়েছেন। তবু কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।
বাসিন্দারা জানান, বহু বছর আগে জয়েনপুর থেকে অরবিন্দ সেতু পর্যন্ত একটি মিনিবাস রুট চালু হয়েছিল। আচমকাই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তার পরে নাকতলা-হাওড়া রুটের কিছু বাসও বোড়াল পর্যন্ত যেত। সম্প্রতি তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়েরা জানান। বাসিন্দা ধ্রুবজ্যোতি দত্ত বলেন, ‘‘যখন এই দু’টি বাস বোড়াল এলাকার মধ্যে দিয়ে যেত তখন বাসিন্দাদের এত অসুবিধা হত না। কিন্তু তা বন্ধ হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’’
নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো চালু হওয়ায় এই সব এলাকায় গত কয়েক বছরে জন বসতি বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু বাসরুট না থাকায় বাসিন্দাদের হেঁটে অথবা অটোয় করে যাতায়াত করতে হয়। অভিযোগ, সন্ধ্যার পর অটোও কমে যায়। ফলে নিত্যযাত্রীদের মেট্রো থেকে গড়িয়ায় নেমে অটোর জন্য দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেকে হেঁটেই বাড়ি ফেরেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটা অনেক দিনের সমস্যা। সরকারের কাছে বার বার আবেদন করেও এর কোনও সুরাহা হচ্ছে না। শীত এবং বর্ষায় সমস্যাটা তীব্র আকার নেয়। কারণ তখন অটোও মেলে না। রিকশা ভাড়া হয়ে যায় তিন গুণ।’’
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পরে গত সাড়ে চার বছরে অনেক জায়গাতেই নতুন বাসরুট চালু হয়েছে। তবু বোড়াল এলাকায় কিছু হয়নি। তাঁরা জানান, ভোটের আগে নেতারা এসে নতুন বাসরুট চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। ভোট চলে গেলে সেই কথা কেউ মনে রাখেন না। বাসিন্দাদের দাবি, নভেম্বর মাসে বোড়াল এলাকার রক্ষিতের মোড় থেকে একটি নতুন বাসরুট চালু হওয়ার কথা ছিল। সেটিও বাস্তবায়িত না হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ।
দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আগে দেখতে হবে গড়িয়া সংলগ্ন ওই এলাকায় বাস চালানোর মতো পরিস্থিতি রয়েছে কি না। তার পরে বাসরুট চালুর সিদ্ধান্তের কথা বিবেচনা করা হবে।’’
টালিগঞ্জের বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই এলাকার বাসিন্দারা আমায় তাঁদের সমস্যার কথা জানলে অবশ্যই বিবেচনা করব।’’