একই স্টেশন। একই ঘটনা। তবু শিক্ষা নেননি রেলকর্মীরা। তাই বদলাল না আমানবিকতার ছবিটাও। অভিযোগ, প্রথম ঘটনায় বজবজ স্টেশনের কর্মীদের অমানবিকতার জন্য প্রাণ হারিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়। দ্বিতীয় ঘটনার পরেও কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও বদল দেখা গেল না বলে জানাচ্ছেন নিত্যযাত্রীরাই।
প্রথম ঘটনাটি জুন মাসের। ট্রেন থেকে বজবজে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক প্রৌঢ়। অভিযোগ, স্টেশনের কর্মীদের সে কথা জানালেও কেউ সাহায্য করেননি। অবশেষে রেল পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক নিত্যযাত্রী বলেন, ‘‘বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত অতক্ষণ ওই প্রৌঢ় প্ল্যাটফর্মে পড়ে রইলেন বিনা চিকিৎসায়। অবশেষে বজবজ থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। যদিও প্রৌঢ়ের পরিবারের তরফে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সপ্তাহ খানেক আগে ওই স্টেশনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক যাত্রী। অভিযোগ, এই ঘটনাতেও কোনও রেলকর্মী এগিয়ে আসেননি। বরং সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন স্থানীয়েরা।
সম্প্রতি টালিগঞ্জ স্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে যান এক যুবক। হাঁটু কেটে রক্ত বেরোয়। কিন্তু স্টেশন থেকে কোনও প্রাথমিক চিকিৎসা মেলেনি বলে জানাচ্ছেন সেই যুবক। রেল সূত্রের খবর, প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক নিয়ম। অভিযোগ, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-বজবজ শাখার অধিকাংশ স্টেশনে সেটুকুও যে অমিল তা পরপর দুর্ঘটনাগুলি থেকেই স্পষ্ট। দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া তো যাত্রীদের অধিকার। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। যে যে স্টেশনে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই তার একটি তালিকা তৈরি করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’