NKDA

সিগন্যালে ইঞ্জিন বন্ধ রেখে দূষণ রোধ 

দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রাস্তার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ইঞ্জিন চালু থাকায় দূষণ ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে প্রচারের মাধ্যমে চালকদের সচেতন করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২০ ০২:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

দূষণ কমাতে সিগন্যালে দাঁড়ানো গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করার আবেদন রাখতে চলেছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) এবং নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিউ টাউন এবং পাঁচ নম্বর সেক্টরে এ জন্য প্রচারের পরিকল্পনা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাতে বিধাননগর পুলিশ, ন্যাসকম, ইন্ডিয়ান অয়েল সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। শনিবার এনকেডিএ-র কর্তা দেবাশিস সেন জানান, দীপাবলির সময়েও বাজি না ফাটানোর আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। এর পরেই নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়। দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রাস্তার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ইঞ্জিন চালু থাকায় দূষণ ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে প্রচারের মাধ্যমে চালকদের সচেতন করা হবে। বলা হবে, সিগন্যাল লাল থাকা অবস্থায় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখতে।

প্রাথমিক ভাবে পাঁচ নম্বর সেক্টর এবং নিউ টাউনের কয়েকটি মোড়ে এই পরিকল্পনা কার্যকর করার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা। ১-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রচার চালানো হবে। বিধাননগর পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের তরফে ওই সব মোড়ে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। সিগন্যাল লাল হলেই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির চালকদের কাছে তাঁরা ইঞ্জিন বন্ধ রাখার আবেদন লেখা প্ল্যাকার্ড, ফ্লেক্স নিয়ে হাজির হবেন। মৌখিক ভাবেও চালকদের কাছে আবেদন করা হবে। নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের এক কর্তা জানান, পাঁচ নম্বর সেক্টরের টেকনোপলিস মোড়, কলেজ মোড়, নিউ টাউনের ইকো পার্ক, বিশ্ববাংলা গেট এবং সিটি সেন্টার দু’নম্বর মোড়ের কাছে এই প্রচার হবে।

Advertisement

সাধারণ মানুষের কথায়, দূষণ রোধে এমন পরিকল্পনা শহর জুড়ে হোক। প্রশাসনের এই আবেদনে তাঁরা সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন। চালকদের একটি অংশের মত, নন-এসি গাড়ি হলে ইঞ্জিন বন্ধ রেখে পরে আবার চালু করায় অসুবিধা নেই। আবার এসি গাড়ির ক্ষেত্রে অল্প সময়ের জন্য হলে সমস্যা হবে না, তবে বেশি ক্ষণ ইঞ্জিন বন্ধ রেখে ফের চালু করায় কিছু সমস্যা আছে। অনেক সিগন্যালে বেশ কিছু ক্ষণ গাড়ি দাঁড় করাতে হয়। সেই সব ক্ষেত্রে বেশি সময়ের জন্যে ইঞ্জিন বন্ধ করায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রশাসনের পরামর্শ, দূষণ নিয়ন্ত্রণের কথা ভেবে এই সমস্যাটুকু মানিয়ে নেওয়া উচিত।

জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, অনেক উন্নয়নশীল দেশেই এমন পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। দেরিতে হলেও এমন উদ্যোগ দ্রুত কার্যকর হওয়া উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement