Fake Call Centre

Fake Call Centre: ফের ভুয়ো কল সেন্টারের হদিস, জালিয়াতিতে ধৃত ৯

মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে টাকা হাতিয়ে কয়েক বছর ধরে চলছিল এই চক্র। খবর পেয়ে শেক্সপিয়র সরণির একটি বহুতলে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ০৬:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

অভিজাত এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে কল সেন্টার খুলে চলছিল প্রতারণা। লক্ষ্য ছিলেন মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারা। মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে টাকা হাতিয়ে কয়েক বছর ধরে চলছিল এই কারবার। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে শনিবার শেক্সপিয়র সরণির একটি বহুতলে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। হাতেনাতে ধরা হয় প্রতারণা-চক্রের ৯ জনকে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৯টি মোবাইল এবং দু’টি ল্যাপটপ। রবিবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে আগামী ২১ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, একটি মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে টাওয়ার বসানোর নাম করে মূলত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দাদের ফোন করত অভিযুক্তেরা। প্রথমেই তারা জানতে চাইত, সংশ্লিষ্ট বাসিন্দার বাড়িতে ১০ ফুট বাই ১০ ফুটের কোনও জায়গা আছে কি না। উত্তর হ্যাঁ হলে তারা মোবাইল টাওয়ার
বসানোর প্রস্তাব দিত। পাশাপাশি আশ্বাস দিত, ওই পরিবারের এক জনকে চাকরি এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, প্রস্তাবে কেউ রাজি হলে শুরু হত প্রতারকদের খেলা। ‘প্রসেসিং ফি’-র নাম করে তারা দফায় দফায় টাকা আদায় করত। সেই টাকা পাঠাতে বলা হত তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কাজ হাসিল হলেই মোবাইল নম্বর বদলে ফেলত অভিযুক্তেরা। তদন্তকারীরা আরও জেনেছেন, সমগ্র বিষয়টির ব্যবস্থাপনায় মোটা টাকা দিয়ে কয়েক জন কর্মীকেও নিয়োগ করা হয়েছিল।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সিআইডির একটি দল লালবাজারের নাকের ডগায় একটি অবৈধ কল সেন্টারে তল্লাশি চালায়। এ ছাড়া, পার্ক স্ট্রিট এবং বৌবাজার-সহ শহরের ১৯টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল তারা। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০ জনকে। তার ঠিক দু’দিনের মাথায় কলকাতা পুলিশ হানা দিয়ে চিহ্নিত করল আর একটি ভুয়ো কল সেন্টার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement