ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিতে বাজারগুলিতে শিবির করবে পুর প্রশাসন।
তিন মাস সময়। তার মধ্যেই কলকাতা পুরসভাকে জানাতে হবে, পরিবেশবান্ধব হটমিক্স প্লান্ট তৈরি করতে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাতে একটু ‘স্বস্তি’ পাওয়া গিয়েছে! সেই সঙ্গে গড়াগাছা ও পামারবাজারের হটমিক্স প্লান্ট নিয়ে কী হবে, সে সম্পর্কে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত।
প্রসঙ্গত, পরিবেশবান্ধব হটমিক্স প্লান্ট তৈরি করতে যে সময় চাওয়া হবে, আগে থেকে তেমনটাই ঠিক করেছিলেন পুর
কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, হঠাৎ করেই হটমিক্স প্লান্টকে পরিবেশবান্ধব প্লান্টে পরিবর্তন করে ফেলা যাবে না বা নতুন প্লান্টও তৈরি করা যাবে না। সেই যুক্তিই এ দিন পুরসভার তরফে পরিবেশ আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়। সঙ্গে সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, দিল্লির (সিআরআরআই) একটি রিপোর্টও পুরসভার
তরফে দাখিল করা হয়। পুরসভার আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবেশবান্ধব প্লান্ট হওয়ার ক্ষেত্রে কত দূর কাজ এগোচ্ছে, সে সম্পর্কে তিন মাস পরে একটি রিপোর্ট দাখিল
করতে হবে। আমরা পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মান্য করব। পরবর্তী শুনানির দিন ৫ অগস্ট ধার্য করা হয়েছে।’’
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সিআরআরআই-এর আর একটি রিপোর্টও দাখিল করা হবে ভবিষ্যতে। সেখানে বিস্তারিত ভাবে বলা হবে, কী ভাবে
পুরসভা গোটা পদ্ধতি পাল্টে ফেলার জন্য এগোতে চায়। প্রসঙ্গত, পামারবাজার ও গড়াগাছার হটমিক্সকে ব্যাচমিক্স প্লান্টে পরিবর্তনের জন্য ইতিমধ্যেই সেখানে কিছু যন্ত্র বসিয়েছে পুরসভা। কিন্তু সেটা কত দূর পরিবেশবান্ধব হয়েছে, সে সম্পর্কেও
খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত।
যদিও পুর প্রশাসনের একাংশেরই বক্তব্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে পরিবেশ আদালতই বলেছিল, একেবারে হট মিক্স প্লান্ট বন্ধ করা তো সম্ভব নয়। তাই ধাপে-ধাপে তা বন্ধের জন্য
‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির কথা বলেছিল তারা। কিন্তু তার পরেও সেই ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির ক্ষেত্রে এত দিন কোনও কিছু করেনি পুরসভা। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পরিবেশ আদালত কিন্তু আমাদের সে সুযোগটা দিয়েছিল। কিন্তু সেটা এত দিন আমরা নিইনি। তাই এখন অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।’’