সূচনা: সম্প্রতি উদ্বোধন হল এই পাম্পিং স্টেশনের।—নিজস্ব চিত্র
অবশেষে দীর্ঘ সাত দশকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন দমদম পার্ক ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে খবর, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশে যাতে বৃষ্টির জল না জমে তাই একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি সেই প্রকল্পেরই উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কেএমডিএ এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার যৌথ উদ্যোগে জওহরলাল নেহরু আরবান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম) প্রকল্পের আওতায় এই পাম্পিং স্টেশনের কাজ শুরু হয়। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে খবর, প্রকল্পে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা। এর ফলে প্রায় ২৭ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।
দমদম পার্কে এই পাম্পিং স্টেশনটি উদ্বোধন করতে এসে পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় না। কাজ করে দেখায়। দমদম পার্কের মানুষের দীর্ঘ দিনের এই দাবি পূরণ করে সেটাই প্রমাণিত হল।’’
১৯৫০ এর দশকের গোড়ায় উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে যে সব এলাকায় পুনর্বাসন হয়েছিল, দমদম পার্ক তার অন্যতম। সময়ের সঙ্গেই ওই এলাকায় জনবসতি বেড়েছে। পরিকাঠামোরও উন্নতি হয়েছে। তবু জমা জলের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাননি বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই দশ-বারো দিন জল জমে থাকে দমদম পার্ক ও সংলগ্ন এলাকায়। এক টানা বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। দিনের পর দিন নোংরা জমাজল পেরিয়ে যাতায়াত এবং জল নামলে বিভিন্ন জলবাহিত রোগের প্রকোপ, এই হল দমদম পার্ক এলাকার ছবি।
বাগজোলা খাল সংস্কার হলেও জমাজলের সমস্যা মেটেনি কখনওই। এক সময়ে বর্ষা কালে নৌকা চলত এখানে। বর্ষার সময়ে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতেও পুরকর্মীদের ভরসা নৌকা।
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সমীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাগজোলা খাল সংস্কার হওয়ায় দমদম পার্ক এলাকার জমাজলের সমস্যা আংশিক নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। কিন্তু পুরো মেটেনি। তবে এ বার দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা মিটবে।’’
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, ‘‘এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এটি। সেটি এ বার পূরণ করা
সম্ভব হল। এই বর্ষাতেই তার সুফল পাবেন বাসিন্দারা।’’