সম্প্রতি পালমোনারি মেডিসিনে ডিএম কোর্স-সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্র এনে ঢেলে সাজানো হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের বক্ষরোগ বিভাগকে। ফাইল ছবি।
দু’টি ফুসফুসের মাঝের গ্রন্থিগুলিতে বা শ্বাসনালির কোনও জটিল অংশে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে কি না, এক্স-রে কিংবা সিটি স্ক্যানেও সব সময়ে তা ঠিক মতো বোঝা যায় না। ফলে নির্দিষ্ট ভাবে বায়প্সি ও রোগ নির্ণয়ে অনেক সময়েই সমস্যা হয়। এরই সমাধানে এন্ডোব্রঙ্কিয়াল আলট্রাসোনোগ্রাফি (ই-বাস) পরিষেবা চালু করল এসএসকেএম হাসপাতাল। যেখানে আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ফুসফুসের জটিল ধরনের ক্যানসার নির্ণয় করা সম্ভব হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সম্প্রতি পালমোনারি মেডিসিনে ডিএম কোর্স-সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্র এনে ঢেলে সাজানো হয়েছে বক্ষরোগ বিভাগকে। সেখানকার প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু জানালেন, সম্প্রতি রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে ভিডিয়ো ব্রঙ্কোস্কোপি এবং থোরাকোস্কোপি চালু হয়েছে। কারও প্লুরায় জল জমলে সেটির বায়প্সিতে বিশেষ ভূমিকা নেবে ভিডিয়ো থোরাকোস্কোপি। আবার করোনায় সাফল্য পাওয়ার পরে পিজি-র অ্যানেক্স শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে শিক্ষক-চিকিৎসক অমিতাভ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে পুরোদমে পালমোনারি মেডিসিন বিভাগ চালু হয়েছে। সেখানেই ‘ই-বাস’-সহ আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।
সোমনাথের কথায়, “ওই সমস্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ব্রঙ্কাস বা ট্রাকিয়ার টিউমার ও অন্যান্য জটিল রোগে নির্ণয় ও নিরাময় সম্ভব হবে। এবং আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার পথ দেখাবে।” পালমোনারি ও রেসপিরেটরি, দু’টি বিভাগেই চালু করা হয়েছে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট।