তোড়জোড়: নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর রুটের মেট্রোপথে স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা শহরের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের মধ্যে বৈশিষ্টের দিক থেকে সব চেয়ে বেশি অভিনব হয়ে উঠতে চলেছে নিউ গড়িয়া বা কবি সুভাষ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো রুটের ওই স্টেশনের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে নিউ গড়িয়া বা কবি সুভাষ উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন হিসেবে পরিচিত হলেও ভবিষ্যতে তা তিনটি মেট্রোপথের সংযোগকারী স্টেশন হয়ে উঠবে। ওই স্টেশন থেকেই একযোগে বিমানবন্দর, দক্ষিণেশ্বর এবং বারুইপুরগামী মেট্রো ছাড়বে। মোট ছ’টি লাইন ওই মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসবে।
একাধিক তলবিশিষ্ট ওই মেট্রো স্টেশন তৈরি হচ্ছে মাটির প্রায় ২৫ ফুট গভীরে। একেবারে নীচের তলায় গাড়ি রাখার জায়গা ছাড়াও তৈরি হচ্ছে বুকিং অফিস। তার উপরে মাটির সমতলে থাকছে চারটি লাইন। দু’টি নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর জন্য। অপর দু’টি উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর চালু থাকা লাইন। পাশাপাশি, আরও দু’টি মেট্রো স্টেশনকে সংযুক্ত করার জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ পথ। ওই তলের উপরে থাকছে আরও দু’টি তল। ঠিক উপরের তলে থাকবে মেট্রোর আধিকারিকদের কার্যালয়। সর্বোচ্চ তলে থাকছে নিউ গড়িয়া-বারুইপুর মেট্রোর লাইন। ওই মেট্রোর নির্মাণের ব্যাপারে এখনও রেল বোর্ডের ছাড়পত্র মেলেনি। তবে, সমীক্ষার কাজ হয়ে গিয়েছে।
প্রস্তাবিত ওই মেট্রোপথের শুরুর কয়েকটি স্তম্ভ নির্মাণের কাজও এই পর্বে সেরে রাখা হচ্ছে। ফলে ছ’টি লাইন একসঙ্গে একই স্টেশনে এসে মিলছে, এমন বিরল দৃশ্য এই স্টেশনেই দেখা যাবে। মেট্রোর বিমানবন্দর স্টেশনেও দু’টি মেট্রোপথ এসে মিলবে। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজ বহু বছর ধরে খুব ধীর গতিতে এগোলেও সম্প্রতি তাতে গতি এসেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শেষে ওই পথে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হতে পারে। বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো চালানোর জন্য নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন ইয়ার্ড বা ডিপোর সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। নতুন ডিপো আয়তনে বর্তমান ডিপোর দ্বিগুণের চেয়েও বড় হচ্ছে। প্রথম পর্বে রুবি পর্যন্ত লাইন পাতার কাজও শুরু হয়েছে। তবে, ই এম বাইপাস সংলগ্ন কালিকাপুরের কাছে খালের উপরের একটি অংশে স্তম্ভ নির্মাণের কাজ মাস কয়েক আগে শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক বললেন, ‘‘ওই অংশে স্তম্ভ নির্মাণের জন্য খালের উপরের পুরনো সেতু ভেঙে দু’পাশে নতুন সেতু তৈরি করার প্রয়োজন ছিল। সেই কাজে সময় লাগায় কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে, চলতি বছরের মধ্যে মেট্রোপথের সংযুক্তি সম্পূর্ণ হবে বলেই আশা করছি।’’