সেজে: সেই বাস। নিজস্ব চিত্র
দুই দেশের কূটনৈতিক দাবি মেনে আজ, শনিবার কলকাতা থেকে যশোহর ও খুলনা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত বাস চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে দিল্লিতে। সবুজ পতাকা নেড়ে তার সূচনা করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে হেতু সেই বাস বাংলাদেশে পাড়ি দেবে কলকাতা থেকেই, তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার সাক্ষী থাকবেন দুই বাংলার মানুষ।
আমজনতা যাতে এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে পারেন সেই জন্য নবান্নে গোটা অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতি। মাইক, মঞ্চ, ব্যানারে সেজে উঠেছে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর। ভবনের উত্তর দিকের গেটের সামনে লাগানো হয়েছে টিভি। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ যখন দিল্লিতে ওই বাসযাত্রার সূচনা হবে তখন নবান্নের মঞ্চে হাজির থাকবেন রাজ্যের চার মন্ত্রী। থাকবেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কলকাতা-খুলনা ট্রেন আজ
কলকাতা থেকে ঢাকা বাসযাত্রা অবশ্য এই প্রথম নয়। ১৯৯৯-এ ঢাকার উদ্দেশে প্রথম বাস ছাড়ে কলকাতা থেকে। তার বেশ ক’বছর কেটে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় দফায় বাসযাত্রা চালু হয় ২০১৫-তে। সেই রুট কলকাতা থেকে যশোহর ও গোয়ালন্দ ছুঁয়ে ঢাকা হয়ে শেষ হয় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায়। সূত্রের খবর, তার পর থেকেই কলকাতা ও খুলনার মধ্যে সরাসরি বাস চলাচলের দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ। তা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে দু’দেশের কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বৈঠকের পরে অবশেষে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ, শুক্রবারই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ নিগম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগমের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তার পরেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।
দিল্লির সূত্র জানাচ্ছে, খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে মাওয়ায় তৈরি হচ্ছে পদ্মার উপরে আরেকটি সেতু। সেটা শেষ হয়ে গেলে সড়কপথেই পৌঁছনো যাবে ঢাকায়। খুলনা থেকে ঢাকার পথেই পড়ে টুঙ্গিপাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বসতবাড়ি। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মভূমিও। তাই টুঙ্গিপাড়া ছুঁয়ে কলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত বাসের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন হাসিনা। সেই ইচ্ছেই পূরণ করতে চায় কেন্দ্র।