আদিগঙ্গার হাল নিয়ে ক্ষুব্ধ আদালত

গত ২০ মে বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্র গড়িয়া থেকে রাজপুর-সোনারপুরের দিকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় আদিগঙ্গার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তার পরে এ দিন আদিগঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে আগাগোড়াই অসন্তুষ্ট ছিল আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

আদিগঙ্গা মরতে বসলেও সরকারি দফতরগুলির কোনও হুঁশ নেই। মঙ্গলবার আদিগঙ্গার দূষণ মামলায় এই মন্তব্য করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, কলকাতা পুরসভা এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে অবিলম্বে আদিগঙ্গা সাফ করতে হবে।

Advertisement

গত ২০ মে বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্র গড়িয়া থেকে রাজপুর-সোনারপুরের দিকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় আদিগঙ্গার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তার পরে এ দিন আদিগঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে আগাগোড়াই অসন্তুষ্ট ছিল আদালত। আদিগঙ্গাকে আবর্জনা মুক্ত রাখতে সেটি সাফাইয়ের পরে জনবসতি এলাকায় ভ্যাট বসানোর কথা বলা হয়েছে। তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে, এই কাজ শেষের পরে পুরসভা ও দফতরগুলিকে হলফনামার আকারে তা জমা দিতে হবে।

আদিগঙ্গা এক সময়ে ছিল বাঙালির বাণিজ্যের পথ। কিন্তু নগরায়ণের পরে দূষণ বাড়তে বাড়তে তা এখন কার্যত নিকাশি নালা। এর জলে মলমূত্র এসে পড়ায় তা থেকে রোগব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কাও প্রবল। বিষয়টি নিয়ে মামলায় আদালত-বান্ধব হিসেবে নিযুক্ত, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত চেতলা এলাকার কতগুলি ছবি জমা দিয়েছিলেন। সেই ছবি দেখার পরে আদালতের মন্তব্য, এগুলি তবু ভাল। আদালত যা দেখেছে, সেই ছবি আরও খারাপ।

Advertisement

আদিগঙ্গার দূষণ মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভা বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করছিল। আদালতে তাদের কৌঁসুলি জানান, ওই রিপোর্ট অনুমোদনের জন্য ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, তা জানাতে হবে এক মাসের মধ্যে। স্বরাষ্ট্রসচিব ও নগরোন্নয়ন সচিবকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement