দূষণ ঠেকাতে রেস কোর্স কর্তৃপক্ষকে নিকাশি শোধন কেন্দ্র গড়তে নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। সোমবার বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছে, ঘোড়ার মল যাতে সরাসরি পরিবেশে মিশে দূষণ না ছড়ায়, সে ব্যাপারেও যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে রেস কোর্স কর্তৃপক্ষকে।
মহানগরীর এই ঘোড়দৌড়ের মাঠ বহু পুরনো। সেখানে প্রচুর ঘোড়া থাকলেও বর্জ্য সামাল দেওয়ার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ ওঠে। রেস কোর্সের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ হিসেবে ছবি ও তথ্য জোগাড় করে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল আদালত।
সুভাষবাবু জানান, পুরসভা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, রেস কোর্সের অপরিশোধিত নিকাশি ও বর্জ্য সরাসরি আদিগঙ্গায় মিশছে।এমনিতেই শহরের দূষণের জেরে আদিগঙ্গার অবস্থা কার্যত নিকাশি নালার মতো। তার উপরে প্রায় পাঁচশো ঘোড়ার এই বর্জ্য সেই দূষণ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ, রেস কোর্স কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব নিকাশি শোধন কেন্দ্র তৈরি করে তরল বর্জ্য পরিশোধন করতে হবে। এর পাশাপাশি ঘোড়ার মল পরিবেশে মিশেও দূষণ ছড়াচ্ছে। পরিবেশবিদদের একাংশের মতে, আদিগঙ্গার জলে ফিক্যাল কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়ার মাত্রা আকাশছোঁয়া। তার পিছনে এই পশুদের মল অনেকটাই দায়ী। সুভাষবাবু জানান, সেই কারণে ওই বর্জ্য যথাযথ উপায়ে নষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু রেস কোর্স নয়, হেস্টিংস লাগোয়া বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের তলায় বেআইনি আস্তাবল গজিয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ। সেখানে মূলত ভিক্টোরিয়ার সামনে দাঁড়ানো ফিটন গাড়ির ঘোড়া ও খচ্চর রাখা হয়। সেখান থেকেও দূষণ ছড়াচ্ছে বলে সুভাষবাবু আদালতে অভিযোগ করেছেন। তার ভিত্তিতে পুরসভা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে পরিবেশ আদালত।