এই তিনতলার ফ্যাটে একাই থাকতেন অনির্বাণ মিত্র। নিজস্ব চিত্র।
ঘরবোঝাই করা বাচ্চাদের খেলনা। তার মধ্যেই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ৪২বছর বয়সী এক ব্যক্তি। মুখ দিয়ে ফেনা বেরচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত লেক গার্ডেন্স এলাকার ঘটনা।
তিনতলার ফ্যাটে একাই থাকতেন অনির্বাণ মিত্র। বাবা ছিলেন নাম করা চাটার্ড অ্যাকাউনটেন্ট। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ফ্ল্যাটে একা থাকতেন অনির্বাণ।
বাড়িতে দুপুরবেলা যিনি খাবার দিতে আসেন সেই হরিদাস অন্য দিনের মতো শুক্রবারও আসেন। বার বার কলিং বেল বাজানোর পরও কেউ দরজা খোলেনি। তাতেই ওই ব্যক্তির সন্দেহ হয়। তিনি অন্য ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীদের জানান। জানানো হয় ওই ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার অসীম মাইতিকেও। তাঁরাও অনেকক্ষণ ধরে ডাকেন অনির্বাণকে। তারপরেও কোনও উত্তর না পাওয়ায় খবর দেওয়া হয় থানাতে। পুলিশ এসে প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঢোকে। সেখানেই অনির্বাণকে বেহুঁশ অবস্থায় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বিকেলেই ঘনিয়ে এল সন্ধ্যা, প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে এল স্বস্তি
খাবার দিতে আসা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, অনির্বাণ উচ্চশিক্ষিত হলেও মানসিক কিছু সমস্যা ছিল। খুব বেশি লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। কাজকর্মও তেমন কিছু ছিল না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া টাকা থেকেই তাঁর খরচ চলে যেত। তবে সম্প্রতি রিজেন্ট পার্ক এলাকার এক প্রোমোটারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। ইদানীং তাঁকে ওই প্রোমোটারের সঙ্গে দেখা যেত। দক্ষিণ কলকাতাতে অনির্বাণের একটি জমি আছে। সেই জমি যৌথ ভাবে ডেভেলপ করার কথাবার্তা চলছিল ওই প্রোমোটারের সঙ্গে। কিন্তু মাইতির মৃত্যু ঠিক কী ভাবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন,“দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। আমরা দরজা ভেঙে ঢুকেছি। তাই খুনের সম্ভবনা খুব কম। সেক্ষেত্রে আত্মহত্যা না অন্য কোনও কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়।”