প্রতীকী ছবি।
শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা তো আছেই। পাশাপাশি, কর্মীদের জন্য পৃথক ভাবে প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতরের অফিসে। দুই ক্ষেত্রেই যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরকে। এ দিকে, দফতরে চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল। ফলে গোটা প্রতিষেধক প্রদান প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে তারা। সমস্যা মেটাতে অবিলম্বে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে কলকাতা পুর এলাকায় ১৫৬টি কেন্দ্র থেকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সরকারি কর্মীদের জন্য পৃথক ভাবে সংশ্লিষ্ট অফিস চত্বরে গিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেছে পুর স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি হেমন্ত ভবনে এই কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পাঁচ নম্বর বরোর এক মেডিক্যাল অফিসারকে। স্বভাবতই তিনি যে ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত, সেখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সে দিন থাকতে পারেননি। পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ওই মেডিক্যাল অফিসার না থাকায় বড় সমস্যা হয়নি ঠিকই। কিন্তু, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তো ওঁদের ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকতেই হবে। এখন জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়াও অন্যান্য অসুখ নিয়ে আসা রোগীর ভিড় বাড়ছে।’’
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচির সঙ্গে করোনা পরীক্ষার সামগ্রিক ব্যবস্থাও পরিচালনা করছে পুর স্বাস্থ্য দফতর। একই সঙ্গে ১৪৪টি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যাঁরা অন্য অসুখ নিয়ে আসছেন, তাঁদেরও চিকিৎসা করতে হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে পুর স্বাস্থ্য দফতরে দেড়শোর বেশি চিকিৎসকের পদ ফাঁকা। বহু বার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, এমবিবিএস পাশ করার পরে বিভিন্ন জেলায় মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেওয়া চিকিৎসকেরা যে সুবিধা পান, কলকাতার পুরসভায় যোগ দিয়ে সেই সুবিধা পান না তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা চান, প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক দিক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরসভা আমাদের জানালে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’