ঘুমের ওষুধ না ‘শক’, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দ

রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের হোটেলে খুন হওয়া তরুণী ও শিশুকন্যার পরিচয় জানা গেল না বুধবারও। তবে সঙ্গী ব্যক্তিই যে এই খুন করেছে, প্রাথমিক ভাবে তা নিয়ে নিশ্চিত গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৫ ০১:০৬
Share:

রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের হোটেলে খুন হওয়া তরুণী ও শিশুকন্যার পরিচয় জানা গেল না বুধবারও। তবে সঙ্গী ব্যক্তিই যে এই খুন করেছে, প্রাথমিক ভাবে তা নিয়ে নিশ্চিত গোয়েন্দারা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ২৯ জুন দুপুরে খাওয়ার তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, খাবারেই ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়েছিল। তবে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, শুধু ঘুমের ওষুধে বিষক্রিয়া হলে যে পরিমাণ রক্তক্ষরণ হওয়ার কথা, তা হয়নি। আবার হাতে তার জড়িয়ে ‘শক’ দেওয়া হলে যে ক্ষত তৈরি হত, তা-ও হয়নি। তাই মনে করা হচ্ছে, ঘুমের ওষুধের পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ‘শক’ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। পুলিশের অনুমান, আগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহ দু’টি ‘হিস্টো-প্যাথলজিক্যাল’ পরীক্ষায় পাঠানো হচ্ছে।

বুধবার পর্যন্ত শম্ভুকুমারের খোঁজ না মিললেও, হোটেলে দেওয়া পরিচয়পত্র দেখে গোয়েন্দাদের একটি দলকে নালন্দা পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, হোটেলকর্মীরা জানিয়েছেন, ভোটার কার্ডের ছবির ব্যক্তিই ঘর ভাড়া নেয়। তবে পুলিশ জেনেছে, বর্তমানে শম্ভু নালন্দায় থাকে না। পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গিয়েছে, রবিবার নিউ মার্কেট চত্বরের একটি হোটেলে যায় ওই তিন জন। কিন্তু সেখানে ঘর পায়নি। রবিবার রাতে তারা কোথায় ছিল, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement