সহায়: পুলিশের সঙ্গে সদ্যোজাত কোলে এক আত্মীয়া। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় টহল দেওয়ার সময়ে এক জায়গায় স্থানীয়দের জটলা দেখে থমকে গিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিক। কিছু ঘটেছে অনুমান করে দ্রুত সেখানে পৌঁছে দেখেন, রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে এক মহিলা। পাশে সদ্যোজাত সন্তান। মহিলার পাশেই দাঁড়িয়ে তাঁর এক আত্মীয়া। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনিও হতভম্ব। অবস্থা বুঝে অবশ্য আর দেরি করেননি ওই পুলিশ আধিকারিক। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে মা-সন্তানকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। গ্রিন করিডর করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয় মহিলা ও তাঁর সন্তানকে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী হাইওয়ের পশ্চিম চৌবাগায়। তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি শৌভিক চক্রবর্তী ওই অবস্থায় প্রসূতিকে পড়ে থাকতে দেখে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন এবং লালবাজারে সব জানান। লালবাজারের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় ছ’কিলোমিটার রাস্তা গ্রিন করিডর করে পৌঁছে দেওয়া হয় মা ও সদ্যোজাতকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটকপুকুরের বাসিন্দা মনোয়ারা বিবি এ দিন রক্ত পরীক্ষার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। কাজ শেষ হওয়ার পরে আত্মীয়া সাবিনা বিবির সঙ্গে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। আচমকাই তাঁর প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়। রাস্তাতেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন মনোয়ারা। তাঁকে রাস্তায় এ ভাবে দেখে ভিড় জমে যায়, যা দেখেই সেখানে পৌঁছন শৌভিকবাবু।হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রসূতি ও তাঁর সন্তানের যাতে চিকিৎসা শুরু হয়, সেই ব্যবস্থাও করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় মনোয়ারার বাড়িতে। সাবিনা জানান, ওই পুলিশ আধিকারিক সময় মতো পৌঁছনোয় মা ও সন্তানের বিপদ হয়নি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দু’জনেই এখন ভাল আছেন।