নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে গায়েব টাকা

এমন অভিনব কায়দায় জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ জুন, চ্যাটার্জিহাটের বাসিন্দা সৈকত হাজরার ক্ষেত্রে। রবিবার তিনি প্রথমে চ্যাটার্জিহাট থানায় অভিযোগ জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ০১:১৯
Share:

কখনও গ্রাহকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জেনে, কখনও আবার কৌশলে এটিএম কার্ডের পিন জেনে জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে ভূরি ভূরি।
কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারে সফল হলেও বেশিরভাগ ঘটনারই কোনও কিনারা হয়নি। এ বার সরাসরি নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে। ওই গ্রাহকের অভিযোগ, সকাল থেকে রাতের মধ্যে মোট ৫৮ বারে তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। এমনকি ব্যাঙ্কে গিয়ে এটিএম কার্ড ব্লক করেও রেহাই মেলেনি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, টাকা তোলার কয়েক ঘণ্টা পরে মোবাইলে সেই সংক্রান্ত এসএমএস পেয়েছেন তিনি।

Advertisement

এমন অভিনব কায়দায় জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ জুন, চ্যাটার্জিহাটের বাসিন্দা সৈকত হাজরার ক্ষেত্রে। রবিবার তিনি প্রথমে চ্যাটার্জিহাট থানায় অভিযোগ জানান। পরে হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। মাসের শুরুতেই মোটা টাকা খোয়া যাওয়ায় কী ভাবে সংসার চালাবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না সৈকতবাবু নিজেও।

হাওড়া উন্নয়ন সংস্থার কর্মী সৈকতবাবু জানান, গত শনিবার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা জমা পড়ে। রবিবার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ছোট ছোট পরিমাণে টাকা উঠতে থাকে। কোনও সময়ে তোলা হয় ৮৫০ টাকা, কখনও ৫৫০ টাকা। সৈকতবাবু জানান, সকাল থেকে রাত মোট ৫৮ বারে প্রায় ২৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘টাকা তোলার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে আমি মোবাইলে এসএমএস পেয়েছি।’’

Advertisement

ঘটনার পরপরই ওই ব্যক্তি ব্যাঙ্কে গিয়ে এটিএম কার্ড ব্লক করে দেন। কিন্তু এর পরেও অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। ঘটনায় ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কোনও কর্মী জড়িত আছেন কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement