নবনির্মিত: বরাহনগর স্টেশন সংলগ্ন নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথ। ছবি: সুদীপ ঘোষ
আগামী সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, ওই দিনই সাধারণ যাত্রীদের জন্য পরিষেবা চালু করা হবে না। পরের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকে যাত্রী-পরিষেবা শুরু হবে।
সে দিন থেকেই কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর নবতম প্রান্তিক স্টেশন হবে দক্ষিণেশ্বর। যার ফলে এক মেট্রোয় সওয়ার হয়েই এ বার দক্ষিণের প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষ থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে উত্তরের দক্ষিণেশ্বরে।
সপ্তাহের কাজের দিনে কবি সুভাষ ও দমদমের মধ্যে ২৪৪টি ট্রেন চললেও সব ক’টি ট্রেন দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাবে না। ওই সমস্ত ট্রেনের মধ্যে ১৫৮টি চলবে কবি সুভাষ ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে। আপ এবং ডাউন লাইনে ৭৯টি করে ট্রেন চলবে। সারা দিনে তিনটি অতিরিক্ত ট্রেন দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাবে।
সকালের দিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ অভিমুখে দিনের প্রথম ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টায়। রাতের অন্তিম ট্রেন দক্ষিণেশ্বর থেকে রাত ৯টা ১৮ মিনিটে ছাড়বে। একই ভাবে, কবি সুভাষ থেকে সকালের প্রথম ট্রেন দক্ষিণেশ্বর অভিমুখে সকাল ৭টায় ছাড়বে। রাতের শেষ ট্রেন ছাড়বে
সাড়ে ৯টায়।
সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটের পর থেকে সব ক’টি ট্রেনই দক্ষিণেশ্বর থেকে ছেড়ে কবি সুভাষ পর্যন্ত আসবে। সারা দিনে মোট ২৪৪টি ট্রেনের মধ্যে ১৫৮টি ট্রেন দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চলায় যাত্রীদের খুব বেশি সময় অপেক্ষা করত হবে না বলে দাবি মেট্রোকর্তাদের। ব্যস্ত সময়ে একটি বা দু’টি ট্রেনের পরেই দক্ষিণেশ্বর অভিমুখে এবং সেখান থেকে ফিরতি পথে কবি সুভাষ অভিমুখে ট্রেন পাওয়া যাবে।
মেট্রোর ন্যূনতম ভাড়া পাঁচ টাকাই থাকছে। তবে, দক্ষিণেশ্বর থেকে বরাহনগর পর্যন্ত দূরত্বের জন্য ভাড়া দিতে হবে পাঁচ টাকা, পরের স্টেশন নোয়াপাড়ার ক্ষেত্রে ভাড়া ১০ টাকা এবং তারও পরে দমদম এবং বেলগাছিয়া পর্যন্ত গেলে দিতে হবে ১৫ টাকা। দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রোয় ওঠার পরে শ্যামবাজার থেকে যতীন দাস পার্ক পর্যন্ত সব ক’টি স্টেশনের ভাড়াই পড়বে ২০ টাকা করে। তার পরে কালীঘাট থেকে দক্ষিণের প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষ পর্যন্ত ভাড়া সর্বোচ্চ ২৫ টাকা। নতুন মেট্রোপথ জুড়লেও মেট্রোর সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ ভাড়ার হারে কোনও বদল হচ্ছে না।
উত্তরের যাত্রী, যাঁরা মূলত দক্ষিণেশ্বর ও দমদমের মধ্যে সফর করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভাড়ার হার কিছুটা বেশি বলেই মনে করছেন অনেকে। তুলনায় ওই পথে ডানকুনি থেকে আসা লোকাল ট্রেনের ভাড়া মাত্র পাঁচ টাকা। তবে, লোকাল ট্রেনের তুলনায় মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা অনেকটাই বেশি থাকবে।