বিধাননগরের মহিষবাথানে একটি ক্লাবে ও এক ক্লাব সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ভোলানাথ নস্কর ও গণেশ খিলা।
কার্তিক সাউ নামে ওই ক্লাব সদস্যের অভিযোগ, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ তিনি স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গে ক্লাবে বসেছিলেন। হঠাৎই বাইরে গোলমালের আওয়াজ শুনে তাঁরা বেরিয়ে এসে দেখেন, এক যুবককে মারধর করা হচ্ছে। পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক তরুণী। কার্তিকবাবু মারধরের প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তাঁকে গালিগালাজ করা হলে তাঁরা ক্লাবে ফিরে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে রাত ১টা নাগাদ ওই ক্লাবে ভাঙচুর চালানো হয়। তার আধ ঘণ্টা পরেই কার্তিকবাবুর বাড়িতে হাজির হয় একদল যুবক। কার্তিকবাবু অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে ওই যুবকেরা। এমনকী গুলিও চালানো হয়। কার্তিকবাবুর মা-বাবা ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাঁরাও প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। তাঁদের মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অবশ্য দাবি, গুলি চালানোর কোনও অভিযোগই দায়ের হয়নি।
ক্লাবের আর এক সদস্য সুমন নস্কর বলেন, ‘‘আমরা কাউন্সিলরকে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছি। পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।’’
এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর। যদিও তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। কে কার পরিচিত জানার দরকার নেই। রং না দেখে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।’’