প্রতীকী ছবি।
একই রাতে পর পর দু’টি অরক্ষিত এটিএম ভেঙে চুরির চেষ্টা হল মধ্য হাওড়ায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে অবশ্য পুলিশের দাবি, দু’টি এটিএম থেকে দুষ্কতীরা কোনও টাকা নিতে পারেনি। মনে করা হচ্ছে স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই ওই হামলা চালিয়েছে এবং এটিএম ভাঙার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় টাকা হাতাতে মেশিনের যে জায়গায় ভাঙা প্রয়োজন তাতে হাত দেয়নি।
গত এক বছরের মধ্যে কোনা বেনারস রোডে একাধিক এটিএম ভেঙে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটের পরে গত ছ’মাসে হাওড়ায় কোনও এটিএম ভেঙে লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু শুক্রবার সকালে মল্লিকফটকের কাছে জি টি রোডের পাশে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে লুটপাটের চেষ্টার ঘটনা সামনে আসে। তার পরেই পুলিশ খবর পায়, নেতাজি সুভাষ রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে লুটের চেষ্টা হয়েছে। দু’টি এলাকার বাসিন্দারা জানান, দু’টি এটিএমেই কোনও নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না। সকালে টাকা তুলতে এসে বাসিন্দারা দেখেন দু’টি এটিএমের শাটার বন্ধ করা। সন্দেহ হওয়ায় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে শাটার খুলে দেখে এটিএমগুলি ভেঙে টাকা বার করার চেষ্টা হয়েছে।
একই রাতে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে দু’টি এটিএম ভাঙার ঘটনা পুলিশ মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার তদন্তে নামেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। তাঁরা আশপাশের ব্যাঙ্কের ও রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করে ওই রাতে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি জানার চেষ্টা করছেন। দলটি প্রথমে কোন দিক থেকে এসেছিল এবং কোন দিকে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে রাস্তায় পুলিশের লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, এটিএম ভাঙার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে কোনও পেশাদার এটিএম লুট চক্রের কাজ এটি নয়। স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই এটিএম ভাঙার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। তারা শীঘ্রই ধরা পড়বে।