প্রতীকী ছবি।
ভোটের আবহে আগে থেকেই উত্তপ্ত উত্তর হাওড়ায় এ বার দিনেদুপুরে এলোপাথাড়ি গুলি চলল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা যখন ঘটে তখন এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে লক্ষ মানুষের উপস্থিতি সামলাতে সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশের বিরাট বাহিনীও। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ অফিসারেরাও। তারই মধ্যে ওই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিশাল মাহাতো (২০) নামে এক যুবক তাঁর বন্ধুর সঙ্গে স্থানীয় গোঁসাইঘাট এলাকায় রাস্তার পাশে এক জায়গায় বসে ছিলেন। ভিড় রাস্তায় আচমকা ঘুসুড়ির দিক থেকে একটি মোটরবাইকে চেপে তিন জন এসে বিশালকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দে লোকজন আতঙ্কে দৌড়তে থাকেন। গুলিবিদ্ধ বিশাল রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন। অল্পের জন্য তাঁর বন্ধু রক্ষা পান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত যুবকের জেঠু বাবুলাল মাহাতো এ দিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘পুরনো শত্রুতার জেরে গত এক মাস ধরে এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিশালের গোলমাল চলছিল। ওই যুবকই এ দিন বিশালকে গুলি করেছে।’’ তিনি জানান, একটি খুনের মামলার সাক্ষী হওয়ায় বিশালের বাবা বিজয়ও এ ভাবেই এক বছর আগে খুন হয়েছিলেন। খুনিরা ধরা পড়েনি।
এলাকার বাসিন্দা সমর পাণ্ডে বলেন, ‘‘আমরা শীতলাপুজোর স্নানযাত্রায় ছিলাম। গুলি চলার খবর পেয়ে ছুটে আসি। একটি ছেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ওর শরীর। কী কারণে ওই যুবককে গুলি করা হল তা আমরাও বুঝতে পারছি না। তবে ওই যুবকের বাবার বিরুদ্ধে এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ ছিল।’’
শীতলাপুজোর স্নানযাত্রা ঘিরে এ দিন সালকিয়া এলাকায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তা-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার মধ্যেও এমন ঘটনা ঘটায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় মানুষ। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘স্নানযাত্রায় উপস্থিত লক্ষাধিক মানুষের ভিড় সামলাতে পুলিশ ব্যস্ত ছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে দ্রুত ধরার চেষ্টা হচ্ছে।’’