প্রতীকী ছবি।
বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও শহরের বেশ কিছু এটিএম যে রক্ষীবিহীন থাকছে, ফের তার প্রমাণ মিলল। বৃহস্পতিবার রাতে বেনিয়াপুকুর থানার দরগা রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে লুটপাটের চেষ্টা করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। যদিও সেটি তারা ভাঙতে পারেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ৩৮এ, দরগা রোডে রয়েছে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির এটিএম। শুক্রবার ব্যাঙ্কের কর্মীরা দেখেন, কেউ বা কারা সেখানে ঢুকে যন্ত্রটি ভাঙচুরের চেষ্টা করেছে। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৩টের পরে কয়েক জন ওই এটিএমে ঢুকে মেশিন ভাঙার চেষ্টা করেছিল। এ দিন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তকারীরা এটিএমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন থানা তাদের এলাকায় এটিএমগুলিতে নজরদারি চালায়। কিন্তু সেখানে রক্ষী মোতায়েন করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের। লালবাজারের এক কর্তার কথায়, নিরাপত্তার কথা ভেবে যাতে এটিএমগুলিতে রক্ষী নিয়োগ করা হয়, সে জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অনুরোধও করা হয়েছে। বছর পাঁচেক আগে বেঙ্গালুরুতে একটি রক্ষীবিহীন এটিএমে ঢুকে দুষ্কৃতীরা এক মহিলা গ্রাহককে আক্রমণ করেছিল। মারা গিয়েছিলেন তিনি। তার পরে প্রশাসন নড়ে বসেছিল ঠিকই। কিন্তু ফের সেই সতর্কতায় ঘাটতি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে জালিয়াতেরাও সহজ লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে রক্ষীহীন এটিএম-কে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত বছর শহরের একাধিক রক্ষীহীন এটিএমে স্কিমিং মেশিন বসিয়ে গ্রাহকের তথ্য চুরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল। সে সময়েও এটিএমের সুরক্ষা জোরদার করতে ব্যাঙ্কগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তরফে। কিন্তু পুলিশের একাংশের অভিযোগ, গ্রাহকদের সুরক্ষা নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের চিন্তা-ভাবনায় ঘাটতি রয়েছে। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে পুলিশ এটিএমের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করলেও তেমন ফল মেলেনি বলে অভিযোগ।
দরগা রোডে যে ব্যাঙ্কের এটিএম ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, সেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। গ্রাহকদের টাকা খোয়া যায়নি। তবে ওই এটিএমে কেন রক্ষী ছিল না বা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানে রক্ষী মোতায়েন করার কোনও পরিকল্পনা আছে কি না, তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তাঁরা।