প্রতীকী ছবি।
পরিস্রুত জল পেতে এ বার সৌর বিদ্যুৎ কাজে লাগাবে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। কলকাতায় আন্ত্রিকের প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সহজলভ্য এই প্রযুক্তি প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে শহরের বস্তি সর্বত্রই কার্যকর হবে।
ঘটনাচক্রে কলকাতার সৌরশক্তি বিজ্ঞানী শান্তিপদ গণচৌধুরীর নেতৃত্বে এক দল বিজ্ঞানী সৌর বিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের জল শোধন যন্ত্র। আধুনিক জীবনযাত্রায় শহরা়ঞ্চলে এখন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে বৈদ্যুতিক জল শোধন যন্ত্র। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের বহু জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ নেই। কিংবা থাকলেও তা অনিয়মিত ও ভোল্টেজ ওঠাপড়ার কারণে ব্যবহার করা যায় না। কারণ ব্যাক্টিরিয়া ধ্বংস করার জন্য সেগুলিতে যে বিশেষ ধরনের
আলো (আল্ট্রা ভায়োলেট ল্যাম্প) থাকে সেটি একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজে চলে। ফলে অনিয়মিত বিদ্যুতের জন্য ভোল্টেজ ওঠানামা করলে বাল্ব কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে সৌর-বিদ্যুৎ কাজে লাগালেও ভোল্টেজ ওঠাপড়ার আশঙ্কা থাকে।
শান্তিপদবাবু জানান, সমস্যার সমাধানে তাঁরা একটি যন্ত্রাংশ তৈরি করেছেন। সেটি ওই যন্ত্রের বাল্বে নির্দিষ্ট ভোল্টেজের সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। তাঁর দাবি, জল থেকে লোহা বের করে দিতে একটি ‘আয়রন রিমুভার’ এবং ধাতু ও অন্যান্য পদার্থ ছেঁকে নিতে ‘আল্ট্রা ফিলট্রেশন’ ব্যবস্থাও বৈদ্যুতিক জল শোধন যন্ত্রটিতে থাকবে।
সৌর শক্তিতে জলশোধনের ব্যবস্থা যে সম্ভব তা নোনাডাঙা-সহ কয়েকটি বস্তির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংস্থা সৌর শক্তিচালিত যন্ত্র বসিয়েছিল।