যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪নং গেট ছবি সংগৃহীত
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে উপাচার্যের দফতরে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন পড়ুয়ারা।
এর পরে মঙ্গলবার ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হল। বৈঠকে
সর্বসম্মত ভাবে আট দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
ওই আট দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতা থেকে ছাড় দিয়ে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে ধাপে ধাপে ক্যাম্পাস
খোলার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানানো হোক। পুজোর আগেই ক্যাম্পাস খোলা ও পঠনপাঠন চালুর বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করুক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। ইচ্ছুক পড়ুয়া, গবেষক ও
শিক্ষাকর্মীদের জন্য অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ প্রতিষেধক নিশ্চিত করুন। ক্যাম্পাস খোলা, পঠনপাঠন চালু ও প্রতিষেধকের জন্য ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্তৃপক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রের খবর, এই প্রস্তাব এ বার কর্মসমিতিতে যাবে।
সেখান থেকে রাজ্য সরকারকে জানানো হবে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ক্যাম্পাস খোলা সংক্রান্ত দশ দফা দাবিতে সোমবার
ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করে। সোমবার পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখানোয় দেড় বছর পরে প্রেসিডেন্সির গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মূল ভবনে ঢোকার রাস্তা ডিভাইডার দিয়ে আটকে দেওয়া ছিল আগেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কোভিড পরিস্থিতিতে
যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের জন্যই মূল ভবন-সহ অন্য জায়গায় এই ব্যবস্থা রয়েছে। মঙ্গলবার ছাত্র সংসদ আগামী আন্দোলন নিয়ে সাধারণ সভা ডাকে। যদিও ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার এ দিন জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যথাযথ নির্দেশ এবং স্বাস্থ্য-বিধির ‘গাইডলাইন’ পেলে তবেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।