জমা জলে মশার লার্ভা আছে কি না, দেখছেন প্রণয় রায়। মঙ্গলবার, বাগুইআটি থানায়। নিজস্ব চিত্র
দু’নম্বর বরোর উদ্বেগে সিলমোহর দিলেন বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়। মঙ্গলবার আট নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোরক্ষবাসী মন্দির চত্বর পরিদর্শনে যান তিনি। পরে প্রণয়বাবু জানান, মন্দির সংলগ্ন প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে মশার বংশবিস্তারের আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে!
ওই জমিতে মন্দিরের পাশাপাশি বাগুইআটি থানা, একটি স্কুল এবং তিনটি জলাশয় আছে। গত বছর বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে অবিলম্বে মন্দির চত্বর সাফাইয়ের আর্জি জানিয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন ২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মণীশ মুখোপাধ্যায়। তার পরেই এ দিন পুর নিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক কুসুম অধিকারী, জেলার নোডাল অফিসার-ডাক্তার পল্লব ভট্টাচার্য ও স্যানিটারি ইনস্পেক্টর শতদল মল্লিককে নিয়ে মন্দির চত্বরে যান প্রণয়বাবু।
দেখা যায়, মন্দির চত্বরে জলাধার থেকে উপচে পড়ছে জল। তা জমছে চায়ের ভাঁড়ে। থানা চত্বরে বাজেয়াপ্ত গাড়ির ফাঁকেও জল। নাড়া দিলেই ভনভন করছে মশা। থানার মেসের নর্দমায় মশার লার্ভাও খুঁজে পান মেয়র পারিষদ। পরে তিনি বলেন, ‘‘মন্দির কমিটিকে এক মাসের মধ্যে ঝোপ পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।
থানা এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানায়।’’