তিন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে শহরে যানজট। ফাইল ছবি।
এক দিকে তৃণমূল, অন্য দিকে বিজেপি এবং সিপিএম— তিন রাজনৈতিক দলের ঠাসা কর্মসূচি বুধবার। যার ফলে কলকাতা শহরের বড় অংশে যানজট তৈরি হয়েছে। শহরের একাংশ প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
ধর্মতলার শহিদ মিনারের কাছে বুধবার থেকেই দু’দিনের ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কয়েক মিটারের দূরত্বে তৃণমূলের ছাত্র যুবর সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। নেতৃত্বে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ওই একই এলাকায় চলছে মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের একাংশের অবস্থান বিক্ষোভ।
এই তিন কর্মসূচিকে ঘিরে ধর্মতলা চত্বরে যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত, তখন শহরের আরও দুই প্রান্তে চলছে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। যার জেরে ভূপেন বোস অ্যাভিনিউতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। উত্তর কলকাতার একটা বিস্তীর্ণ অংশে এর প্রভাব পড়েছে। যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়।
আবার বুধবার দুপুরেই বাম কংগ্রেসের মিছিল শুরু হয়েছে শহরের আর এক প্রান্তে। রামলীলা ময়দান থেকে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের দিকে এগোচ্ছে সেই মিছিল। নেতৃত্বে রয়েছেন প্রবীণ বাম নেতা বিমান বসু-সহ একাধিক নেতাকর্মী। এই মিছিলের ফলে যানযটের রেশ মধ্য কলকাতা থেকে ছড়িয়েছে দক্ষিণের দিকেও।
ধর্মতলায় মমতার ধর্না মঞ্চের কাছেই অভিষেকের সভাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ ভিড় করেছেন। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ সেই সভায় এসেছেন। ফলে হাওড়া স্টেশন থেকে ধর্মতলার দিকে যাওয়ার রাস্তায় যানজট রয়েছে সকাল থেকেই। এ ছাড়া, শ্যামবাজার এলাকায় বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও সেখানে রয়েছেন। উত্তর কলকাতার সঙ্গে মধ্য কলকাতার সংযোগস্থলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বিজেপির এই অবস্থানের কারণে বদ্ধ হয়ে পড়েছে। গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাইকপাড়া দিয়ে আরজিকর সংলগ্ন রাস্তায়।
লালবাজারের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, শহরের যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। ধর্মতলা এলাকায় ট্র্যাফিকের কোনও সমস্যা নেই। বাম-কংগ্রেসের মিছিলের কারণে মৌলালির দিকে রাস্তা কিছুটা আটকালেও শ্যামবাজার এলাকাতে তেমন কোনও অসুবিধার কথা স্বীকার করেনি পুলিশ।