পিজি হাসপাতালে ভর্তি বুদ্ধদেব মাহাতো ফাইল ছবি
ইতিমধ্যেই তাঁর ৩৬২টি ডায়ালিসিস হয়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের হাসপাতালই এখন তাঁর ঠিকানা। ৪০ বছর বয়সি সেই বুদ্ধেশ্বর মাহাতোকে নিয়ে রবিবার সকালে কার্যত ‘যমে-মানুষে’ টানাটানি শুরু হয় জেল হাসপাতালেই।
জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে এ যাত্রায় প্রাণে বাঁচানো গিয়েছে তাঁকে। সোমবার হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভাল নেই বুদ্ধেশ্বর। তাঁর ডায়ালিসিস চলছে।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রামের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হানায় ২৪ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় ওই বছরের মে দিবসে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বেলপাহাড়ির বাসিন্দা এই মাওবাদী নেতাকে। বুদ্ধেশ্বর ছিলেন সেই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত। ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়া মামলাতেও তাঁর নাম ছিল।
সেই থেকে প্রথমে মেদিনীপুর ও পরে প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর ঠাঁই হয়। জেল সূত্রের খবর, প্রথম থেকেই অসুস্থ বুদ্ধেশ্বর। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কড়া নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। এর মধ্যে ২০২১-এ মহারাষ্ট্রের জেলে ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর পরে মাওবাদীদের একাংশ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, একই ভাবে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বুদ্ধেশ্বরকেও।
জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, কিডনির অসুখে ভোগা বুদ্ধেশ্বরকে নিয়মিত এসএসকেএম হাসপাতালে ডায়ালিসিসের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের দাবি, রবিবার সকালে এমন কিছু তিনি খান, যা তাঁর খাদ্য-তালিকায় নিষিদ্ধ। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধেশ্বর। রক্তচাপ বেড়ে যায়। জ্ঞান হারান তিনি। জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা হয়, সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছে। তড়িঘড়ি জেলের অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে বুদ্ধেশ্বরকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।